ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কার্যত ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৬১ জনের। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। আহত ৯০০-র বেশি মানুষ।
সেখানে আহত আটকে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে আনতে ইতিমধ্যেই হাওড়া থেকে রওনা দিয়েছিল একটি স্পেশ্যাল ট্রেন। ইতিমধ্যেই সেটি হাওড়া স্টেশনে ঢুকতে চলেছে।
সূত্রের খবর, স্পেশাল ট্রেনটি হাও়ড়া স্টেশনে ঢোকার পরই ক্ষতিগ্রস্ত জসবন্দপুর এক্সপ্রেস ঢুকবে বলে জানা যাচ্ছে। ট্রেনটি হাওড়ায় ঢুকলে দ্রুত যাতে যাত্রীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হাওড়া স্টেশনে তৈরি রাখা হয়েছে প্রচুর অ্যাম্বুলেন্স, বাস। উপস্থিত রয়েছেন খোদ রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। রাজ্যের তরফেও রাখা হয়েছে খাবার, জল, ওষুধের ব্যবস্থা।
পাশাপাশি হাওড়া স্টেশনে তৈরি হয়েছে মেডিকেল টিম। আহতরা স্টেশনে নামামাত্রই তাঁদের যাতে চিকিৎসা করা যায় তার জন্য তৈরি রয়েছেন ডাক্তার-নার্সরা।
খবর অনুযায়ী, ট্রেনটি হাওড়া স্টেশনের ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢুকেছে। চলছে লাগাতার মাইকিং। ক্রমেই ভিড় বাড়ছে ওই চত্বরে। পুলিশি নিরাপত্তাও রয়েছে গোটা স্টেশন চত্বরে।
ভিড় করেছেন বহু সাধারণ মানুষ। যে সমস্ত পরিবারের সদস্যরা অভিশপ্ত করমণ্ডলে ছিলেন তাঁদের পরিবারের অনেক সদস্যও হাওড়া স্টেশনে এসে হাজির হয়েছেন বলে জানতে পারা যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে, হাওড়ায় পৌঁছল উদ্ধারকারী ট্রেন। অভিশপ্ত ট্রেন থেকে যাঁরা বেঁচে ফিরেছেন, তাঁরাই পৌঁছে গেলেন হাওড়া। স্টেশনেই তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভয়াবহু অভিজ্ঞতার কথা জানাচ্ছেন তাঁরা। দুর্ঘটনার মুহূর্তে ঠিক কী হয়েছিল, কীভাবে উল্টে গেল বগি, সে কথাই বলছেন ওই যাত্রীরা।