করোনা সংক্রমণের সালতামামি ইতিহাসের পাতায় জ্বলজ্বল করছে ২২ শেষ এপ্রিল দিন। এই দিন ” Red Volunteers” day হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সংগঠনটি বর্ষ পূর্তি পালন করছে।
ভয়াবহ করোনা হামলার সময় বিপদ আঁচ না করতে পেরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বিভিন্ন দেশে ঢালাও অক্সিজেন বিক্রি করেছিল। এর জেরে দেশ জুড়ে দেখা দেয় অক্সিজেন সংকট। আর পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের প্রশাসন কঠিন পরিস্থিতিতে প্রায় হাল ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ। তৎকালীন ভয়ঙ্কর বাস্তবে যে যখন বিপদে পড়েছিলেন, রাত বিরেতে ফোন করেছিলেন হ্যালো রেড ভলান্টিয়ার্স অক্সিজেন চাই।
ভয়াবহ সেই করোনা সংকট এখন নেই। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্খা (হু) সতর্কতা দিয়েছে করোনার এক্স ই ভ্যারিয়েন্ট শক্তিশালী হচ্ছে। ভারতে এই ভ্যারিয়েন্ট বড় আকার নিতে পারে। এরই মাঝে দিল্লির সংক্রমণ তীব্র গতি নেওয়ায় চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি মাথায় রেখে রেড ভলান্টিয়ার্সরা ফের তৈরি হচ্ছেন।
করোনা সংকট পরিস্থিতিতে সিপিআইএমের এই সংগঠনটি তীব্র আলোচিত হয়। দলটির ছাত্র যুব সংগঠনের সদস্যরা রেড ভলান্টিয়ার্স হয়ে হাসপাতালের ব্যবস্থা, ওষুধ পাঠানো, খাবার ও অক্সিজেন সরবরাহ করতে থাকেন। এমনকি মৃতদের শ্মশান ও কবরস্থানে নিয়ে যান তারা। পরিস্থিতি এমন ছিল যে প্রশাসনের তুলনায় রেড ভলান্টিয়ার্সের উপর বেশি ভরসা করেছিলেন রাজ্যবাসী।
তবে বিধানসভা ভোটে এর প্রভাব পড়েনি। সিপিআইএম সহ বামফ্রন্ট রাজ্যে শূন্য হয়ে গেছে। এর পর প্রশ্ন উঠেছিল, রেড ভলান্টিয়ার্সদের সাহায্য নিয়েও কেন রাজ্যবাসী বাম শিবিরে ভোট দেওয়া থেকে মুখ ঘুরিয়েছিলেন। তবে রেড ভলান্টিয়ার্স দাবি করে যাই হোক, তাদের কর্মসূচি চলবেই। ততদিনে বিশ্ব জুড়ে আলোচিত হতে শুরু করে রেড ভলান্টিয়ার্স কাজ।
পরিস্থিতি এমন ছিল যে, শাসক তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা বিপদে রেড ভলান্টিয়ার্স সাহায্য নেন। বিজেরির নেতারাও একই পথ নেন। পরে দুটি দল তাদের স্বেচ্ছাসেবকদের নামালেও ততটা কার্যকরী হয়নি। রেড ভলান্টিয়ার্স তার কর্মদক্ষতা তুঙ্গে নিয়ে গেছে।