TMC ঘরে ফিরছেন? বৈশাখীর উদ্যোগে মমতা-শোভন বৈঠকে বরফ গলার ইঙ্গিত

দীর্ঘদিন রাজনৈতিক সন্ন্যাসে থাকার পর অবশেষে কি তাহলে ঘরের ছেলে ঘরে (TMC) ফিরছেন। বুধবার নবান্নে যে ছবি দেখা গেল, তাতে তেমনই ইঙ্গিত মিলছে।     রাজনীতির…

shovan chattopadhyay, baishakhi banerjee

short-samachar

দীর্ঘদিন রাজনৈতিক সন্ন্যাসে থাকার পর অবশেষে কি তাহলে ঘরের ছেলে ঘরে (TMC) ফিরছেন। বুধবার নবান্নে যে ছবি দেখা গেল, তাতে তেমনই ইঙ্গিত মিলছে।

   

রাজনীতির অন্তরালে দীর্ঘ সময় ছিলেন কলকাতা কর্পোরেশনের প্রাক্তন মেয়র এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। বুধবার দুপুরে নবান্নে তাঁর ঝটিকা সফর রাজ্য রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে গিয়েছিল। সোজা ১৪ তলায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।

এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, মমতাদির লক্ষ্য বাস্তবায়িত করাই কাজ এখন তাঁর।

সূত্রের খবর, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের এহেন বয়ানে তাঁর তৃণমূলে কামব্যাকের জল্পনা প্রবল হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ২১ জুলাই তৃণমূলের ধর্মতলার শহীদ মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে উপস্থিত থাকতে পারেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

যদিও এবিষয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, মমতাদির কাছে আসব, একটু চা খাব, গল্প করব, মতামত বিনিময় হবে, নির্দেশ, আদেশ, অনুরোধ থাকবে, এমন হওয়াটাই তো বাঞ্ছনীয়! তবে কী তৃণমূলে ফিরছেন তিনি?

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দিদি যবে বলবেন শোভন কাজে যোগ দেবে।

বিধানসভা নির্বাচনের আগে শোভন বিজেপিতে গিয়েছিলেন। বিজেপির হতে প্রচারও শুরু করেছেব বৈশাখী। কিন্তু পছন্দমত আসন না পাওয়ায় বিজেপির হয়ে দাঁড়াননি শোভন। বৈশাখীকেও প্রার্থী করতে রাজি হয়নি বিজেপি। আর বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই বিজেপির সম্পর্কে তাঁদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছিল। তেমনই মনে করছেন তাঁরা। তারপর থেকে শোভন আর বৈশাখী নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ সময় ধরে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাই তাঁকে মন্ত্রিসভায় একাধিক দফতর দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে দল ছাড়েন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ছাড়েন মন্ত্রিসভা সহ কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র পদও।

এরপর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে দিল্লিতে দিয়ে দীন দয়াল উপাধ্যায় মার্গে উপস্থিত হয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। বারবার ক্ষোভ উগরে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। গত বিধানসভা নির্বাচনে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর কেন্দ্রে প্রার্থী করেনি বিজেপি। পরিবর্তে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কেন্দ্রে জয়লাভ করেন তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। পরে বিজেপি ত্যাগ করেন শোভন। দীর্ঘ সময় রাজনীতির অন্তরালে থাকার পর আজ নবান্নে দেখা করেন তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে