শোভন চট্টোপাধ্যায়ের (Sovan Chatterjee) সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে আবারও জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। একসময়ের কলকাতা পুরসভার মেয়র ও তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) প্রভাবশালী নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন করতে পারেন বলে একাধিক সূত্র থেকে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। যদিও তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু ঘোষণা করেননি, তবুও রবিবার এই বিষয়ে তাঁরএবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে দলে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
‘কেষ্ট গড়ে’ পিটিয়ে হত্যা তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে, গ্রেফতার ৫
শোভন সম্প্রতি বলেছেন, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আশীর্বাদই তার মাথায় রয়েছে এবং সেটাই তার জন্য যথেষ্ট। শোভনের দাবি, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথামতোই সব পদক্ষেপ নিয়েছেন। তার এই বক্তব্যে জল্পনা বাড়ছে যে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরত আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
শোভনকে রাজনীতিতে ফিরে আসতে মমতার অনুমোদন প্রয়োজন বলে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন।
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি শোভনের ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত, তিনিও শোভনের প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। বৈশাখী জানিয়েছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মনে করবেন তখনই শোভনকে ঠিক সময়ে ফিরিয়ে আনবেন।” তার এই বক্তব্যে ধারণা করা হচ্ছে যে মমতা এবং তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে শোভনের যোগাযোগ রক্ষা হচ্ছে এবং সময় এলেই তাকে সক্রিয় ভূমিকায় আনা হবে।
শ্রীনগরে অল ইন্ডিয়া রেডিও স্টেশনে হামলা, জঙ্গিদের ছোঁড়া গ্রেনেডে জখম ১০
শোভন চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন এবং তার নেতৃত্বেই কলকাতা পুরসভায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসে। তবে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক কারণে তিনি কিছুদিন রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন।
‘এক দেশ এক নির্বাচন’ মানব না, দলের প্রথম সভাতেই মোদীকে আক্রমন বিজয়ের
এই দূরত্বের কারণেই অনেকের মধ্যে তার ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে নানা মতবিরোধ দেখা দেয়।
এদিকে, শোভনের অনুপস্থিতিতে কলকাতা পুরসভার এবং রাজ্য রাজনীতিতে যে প্রভাব পড়েছিল তা অনেকাংশে সামাল দিয়েছে বর্তমান নেতৃত্ব। তবুও শোভনের মতো এক প্রভাবশালী নেতার প্রত্যাবর্তন হলে রাজনীতিতে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। এছাড়া রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং নারী নিগ্রহ রোধে প্রশাসনকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে বলে দাবি তুলেছে রাজনৈতিক মহল।
সব মিলিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ফেরার সম্ভাবনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে। তার এই প্রত্যাবর্তন রাজ্যে রাজনৈতিক সমীকরণে কতটা প্রভাব ফেলবে তা এখন দেখার বিষয়।