দক্ষিণী অভিনেতা থালাপতি বিজয়ের (Actor Vijay) হাত ধরেই সম্প্রতি পথচলা শুরু তাঁর নতুন দল তামিলিঙ্গা ভেত্তরি কাজাঘাম। আর রবিবার দলের প্রথম সাংগঠনিক সভা থেকেই কেন্দ্রের ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ ইস্যুতে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি। পাশাপাশি নিট প্রবেশিকা পরীক্ষা থেকে তামিলনাডুকে সরে আসার জন্য একটি প্রস্তাবনা পাশ করেছে বিজয়ের দল। সেইসঙ্গে তামিলনাডুতে জাতিজনগনণা চালু না করায় রাজ্যের ডিএমকে ও কেন্দ্রকেও দোষারোপ করতে ছাড়েননি তিনি।
তাঁর মতে, ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ রাজ্যগুলির স্বাতন্ত্র্য ও স্বায়ত্তশাসনের উপর আঘাত হানবে।
বিজয়ের বক্তব্যে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে নিট (ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এনট্রান্স টেস্ট) ইস্যুতে তাঁর দলীয় প্রস্তাবনা। তামিলনাডুর প্রেক্ষিতে নিট পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় প্রতিবন্ধকতা বলে অভিহিত করেন তিনি এবং তামিলনাডুতে নিট পরীক্ষা বন্ধ করার প্রস্তাব পাশ করেন দলের সভায়।
তিনি বলেন, “তামিলনাড়ুর ছাত্রছাত্রীদের জন্য নিট একটি কঠিন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, এবং এতে তারা অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা চাই রাজ্য সরকারের স্বায়ত্তশাসনকে সম্মান জানানো হোক এবং এই পরীক্ষা থেকে তামিলনাড়ুকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।”
সেইসঙ্গে, বিজয় তাঁর বক্তব্যে তামিলনাড়ুতে জাতিজনগণনার অভাবের বিষয়টি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, তামিলনাড়ুর মানুষের প্রকৃত সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার চিত্র তুলে ধরতে জাতিজনগণনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিজয়ের মতে, এটি না চালানোর ফলে সামাজিকভাবে পিছিয়ে থাকা অনেক সম্প্রদায়ের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই ইস্যুতে রাজ্যের ক্ষমতাসীন ডিএমকে সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেন তিনি। বিজয়ের দল এই ইস্যুগুলিকে সামনে রেখে রাজ্য ও কেন্দ্রের বিভিন্ন নীতির বিরোধিতা চালিয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন।
সাংগঠনিক সভায় বিজয়ের বক্তব্য সাধারণ মানুষের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে এবং তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক মহলেও চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। তাঁর এই নতুন দলের রাজনৈতিক অবস্থান এবং নেতৃত্ব তামিল রাজনীতিতে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করেছে বলেই অনেকে মনে করছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজয়ের মতো জনপ্রিয় অভিনেতা ও তারকা রাজনীতিতে প্রবেশ করায় যুবসমাজের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে।
বিজয়ের এই নতুন দল তামিলনাড়ুর আঞ্চলিক ও জাতিগত ইস্যুগুলির পক্ষে জোরালোভাবে আওয়াজ তুলবে বলে তাঁর সমর্থকেরা আশা করছেন।