অগ্নি সংযোগের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল কলকাতার একটি শপিং মলে। শুক্রবার কসবার একটি মল থেকে হঠাত্ কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দমকলের সূত্রের জানা গিয়েছে, এদিন সকালে মলের চার তলা থেকে হঠাত আগুন লাগে। কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় গোটা মল। চার তলার ফুড কোর্ট থেকেই এই আগুন ছড়িয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে মলের একটি বুক স্টোর থেকে এই অগ্নি সংযোগ ঘটে। তারপর আগুন ছড়িয়ে প়ডে মলের বিভিন্ন ফ্লোরে। ঘন ধোঁয়ার জেরে অন্ধকার হয়ে পড়ে মলের ভেতর। আর এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মলের ভেতরে থাকা কর্মীরা। আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে শুরু করেন তাঁরা। আগুনের হাতথেকে বাঁচতে চিত্কার শুরু করে দেন মলের ভেতরে ঘুরতে আসা সাধারন মানুষও। পরিস্থিতি নিযন্ত্রণে আনতে গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় শপিং মলের সামনের চত্বরটি। ঘন ধোঁয়ায় ছেয়ে রয়েছে শপিং মল। তবে এই মুহূর্তে মলের ভেতর কেউ আটকে নেই বলেই পুলিশ ও দমকলের তরফে জানানো হয়েছে।
আগুনের ছবল থেকে বাঁচতে মল সংলগ্ন গীতাঞ্জলী স্টেডিয়ামে আশ্রয় নিয়েছেন আতঙ্কিত মলের কর্মীরা। ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কয়েকজন। আগুন নেভাতে জোর কদমে চেষ্টা চালাচ্ছেন দমকল কর্মীরা। এদিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। পরিস্থিতি পরিদর্শন করে তিনি বলেন, ” পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে, কীভাবে আগুন লাগল,তা খতিয়ে দেখতে গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে।”
গত ১১ জুন পার্কস্ট্রিট ও ক্যামাক স্ট্রিটের সংযোগস্থলেও একটি ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। তখনও দমকলের তত্পরতায় নিয়ন্ত্রণে আনা হয় আগুন। কলকাতায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা নিয়ে বিতর্ক আগেও কম হয়নি। আগুন থেকে প্রাণ হানির ঘটনা নিয়ে কাঠগড়ায় তোলা হয় পুরসভাকে। ফায়ার অডিট নিয়ম মেনে হয় না এই সুরেও বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হয় পুরসভাকে।