২১শে জুলাই, শহিদ দিবস, কলকাতার রাজনৈতিক ও সামাজিক (TMC Shahid Diwas) জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এক দিন। এই দিনটি বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকে শহরের রাজনীতির কেন্দ্রে, বিশেষ করে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য, যাদের জন্য এই দিনটি শহিদ স্মরণের দিন। কিন্তু সম্প্রতি, রাজনৈতিক শহিদ স্মরণ ও শিক্ষাব্যবস্থার সম্পর্ক এক নতুন মাত্রা পেতে চলেছে। শহরের কিছু নামী বেসরকারি স্কুলও ঘোষণা করেছে, ২১শে জুলাই, শহিদ দিবস উপলক্ষে তারা বন্ধ রাখবে স্কুল(TMC Shahid Diwas)
শহিদ স্মরণের বিভিন্ন রূপ
শহিদ স্মরণ বিভিন্নভাবে হয়ে থাকে। কোথাও মোমবাতি জ্বালানো, কখনও(TMC Shahid Diwas) বা ক্ষণিকের প্রার্থনা ও মৌনতা, আবার কখনও গোটা দিনটাই উৎসর্গ করা হয় শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। তবে, রাজনৈতিক মহলের শহিদ স্মরণ একেবারে আলাদা ধরনের। এই দিনটিতে মিটিং, মিছিল, খাওয়া-দাওয়া, রাজনৈতিক আলোচনা, এবং শক্তির প্রদর্শন চলে। তবে, এই শহিদ স্মরণের মধ্যে রাজনীতির প্রভাব ধরা পড়লেও, অনেকেই বলেন যে, এটি রাজনীতির মঞ্চ নয়, বরং একটি সামাজিক আয়োজন, যার উদ্দেশ্য শহরের যানজট পরিস্থিতি থেকে ছাত্রদের একদিনের বিরতি দেওয়া।
স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং শাসক শিবিরের একাংশের মতে, এই দিনটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্রামের দিন হতে পারে। ২১শে জুলাইয়ের দিনে স্কুল বন্ধ রাখলে অভিভাবকরা একটু স্বস্তি অনুভব করবেন, কারণ তারা তাদের সন্তানদের যানজটের ঝামেলা থেকে দূরে রাখতে পারবেন। তবে, এই সিদ্ধান্তের পেছনে যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।(TMC Shahid Diwas)
২১শে জুলাই স্কুল ছুটি ঘোষণা
২১শে জুলাই, শহিদ দিবসে বেশ কিছু স্কুল ঘোষণা করেছে ছুটি। এই স্কুলগুলোর মধ্যে রয়েছে ডন বসকো, ক্যালকাটা গার্লস, সেন্ট জেমস স্কুল, ডিপিএস মেগা সিটি, ডিপিএস রুবি পার্ক এবং অভিনব ভারতী। এই স্কুলগুলোর কর্তৃপক্ষ একদিনের জন্য ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।(TMC Shahid Diwas)
তবে কিছু স্কুল ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষাদানের পথ বেছে নিয়েছে। যেমন, লা মার্টিনিয়ার এবং বিএসএস স্কুল তাদের ক্লাস অনলাইনে চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। লা মার্টিনিয়ার স্কুলের সেক্রেটারি সুপ্রিয় ধর জানিয়েছেন, “এই সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিশেষত, ২১শে জুলাইয়ের দিনে শহরের যানজট পরিস্থিতি এতটাই খারাপ থাকে যে, ছাত্রছাত্রীরা স্কুল থেকে ফেরার সময় দুপুর ১টা বাজে, আর যানজটে আটকে বাড়ি ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা ৫টা বেজে যায়। এই কারণে অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” তবে, তিনি আরো জানান যে, এই সিদ্ধান্তের ফলে পড়াশোনায় কোনো ক্ষতি হবে না।