Scam in West Bengal: ঘুষের ৯০ শতাংশ টাকা তৃতীয় ব্যক্তির কাছে পাঠাত কুন্তল: দাবি ইডির

Scam in West Bengal: কোর্টে হাঁড়ি ভাঙলেন তৃণমূল কংগ্রেস যুবনেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)! বাংলার শিক্ষক নিয়োগ দূর্নীতি মামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে দিয়েছেন তদন্তকারী সংস্থা ইডির হাতে

Kuntal Ghosh

Scam in West Bengal: কোর্টে হাঁড়ি ভাঙলেন তৃণমূল কংগ্রেস যুবনেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)! বাংলার শিক্ষক নিয়োগ দূর্নীতি মামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে দিয়েছেন তদন্তকারী সংস্থা ইডির হাতে৷ তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়েছেন, চাকরি প্রার্থী প্রতি ঘুষের টাকার ১০ শতাংশ কমিশন পেতেন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ, বাকি ৯০ শতাংশ টাকা পৌঁছে যেত অন্যত্র। তদন্তের জেরায় কুন্তল এমনটাই জানিয়েছে বলে আদালতে দাবি করেছে ইডি৷ ইডির এই দাবিতে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ আদালত জানার চেষ্টা করছে, কে সেই তৃতীয় ব্যক্তি, যার কাছে ঘুষের ৯০ শতাংশ টাকা মজুত হয়েছে৷

সুত্রের খবর, কারা কারা এই টাকার ভাগ পেত, তা জানতে কুন্তলকে জেরা করতে চাইছেন ইডি আধিকারিকরা। হেফাজতে পাওয়ার পর আজ, রবিরার সকাল থেকে টানা জেরা শুরু হয়েছে৷

ইডি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, তারা যে তথ্য পেয়েছে তাতে প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে ১০ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে। আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে সেই অঙ্ক ৩ কোটি ৩০ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। এখানেই শেষ নয় প্রাথমিক টেট ২০১৪ চাকরি প্রার্থীদের থেকে নেওয়া ঘুষের পরিমাণ ৫ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা।

হুগলির বলাগড়ের টিএমসি যুব নেতা কুন্তল ঘোষ চাকরি দেওয়ার নাম করে ১৯ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা তুলেছে বলে অভিযোগ। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে কুন্তল ঘোষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। শীতল সকালে কলকাতায় হু হু করে নেমেছে পারদ। আর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত ঘিরে রাজনৈতিক গরম হাওয়া ছড়াচ্ছে।

নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস যুবনেতা কুন্তল ঘোষের নিউটাউনের ফ্ল্যাটে ইডি অভিযান চলেছে। এই আবাসনের দুটি ফ্ল্যাটে শুক্রবার হানা দেয় ইডি। এর আগে টানা তিনদিন সিবিআই জেরা করেছিল কুন্তল ঘোষকে। তবে কুন্তল জানায় সম্পূর্ণভাবে সিবিআইকে তদন্তে সহযোগিতা করবে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ,বিএড কলেজে অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের নাম করে কোটি কোটি টাকা তুলেছিল।

২০১৬ সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে রাজনীতিতে উত্থান হয় কুন্তল ঘোষের। যুব তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে ছিল কুন্তল। অভিযোগ রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কুন্তল চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা তুলেছিল। সেই টাকা দলের উপরতলায় পাঠিয়ে নিজের নেতা হওয়ার জায়গা পোক্ত করেছিল।