Satyajit Roy: ‘মহারাজা, তোমারে সেলাম….’

তাঁকে কালজয়ী বললেও কম বলা হবে। তিনি ছিলেন অনন্য, অনবদ্য। তাঁকে নিয়ে চর্চা করা যায় আজও। হয়ত আগামী কয়েক দশকেও করা যাবে। তিনি নিশ্চিন্তে যাবেন,…

satyajit roy

তাঁকে কালজয়ী বললেও কম বলা হবে। তিনি ছিলেন অনন্য, অনবদ্য। তাঁকে নিয়ে চর্চা করা যায় আজও। হয়ত আগামী কয়েক দশকেও করা যাবে। তিনি নিশ্চিন্তে যাবেন, রয়ে যাবেন মনের চিলেকোঠায়। বাঙালির প্রাণ পুরুষ সত্যজিৎ রায়ের আজ জন্মদিন। তাঁর ১০৩ তম জন্মদিনে তাঁকে ফিরে দেখা যাক। আরও একবার আলোচনা করা যাক তাঁর সেরার সেরা কাজগুলো নিয়ে। তবে দর্শকেরা বলে তাঁর সব কাজই সেরা। আসলে তিনি সেরা কাজগুলোকে ছাপিয়ে গিয়েছেন আরও সেরা কাজগুলো দিয়ে। আকিরা কুরোসওয়াও নিজেকে সত্যজিতের একজন ‘ভক্ত’ বলে দাবি করেছেন। তবে শুধু চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবেই নয়, একজন আদর্শ শিল্পী হিসেবে তিনি আজও সর্বাধিক, সর্বোত্তম। নির্মাতার পাশাপাশি লেখক, চিত্রনাট্যকার, সঙ্গীত পরিচালক এবং শিল্প নির্দেশক হিসেবেও তার ব্যাপক খ্যাতি রয়েছে। তিনিই প্রথম বাংলা সিনেমাকে আলোর পথযাত্রী করে ছিলেন।

অপু ট্রিলোজি অর্থাৎ পথের পাঁচালী, অপুর সংসার এবং অপরাজিত সত্যজিৎ রায়ের সরা সৃষ্টি। এছাড়াও গুপি গাইন বাঘা বাইন তো আজও গোগ্রাসে গিলে ফেলা যায়। ‘জন অরণ্য’ আজকেও দিনের কতটা প্রাসঙ্গিক সেটা বোঝা যায়। ‘অশনি সংকেত’ কি আজকের পটভূমির জন্যই উনি বানিয়ে গিয়েছিলেন ? অরণ্যের দিনরাত্রি তো বেঁচে থাকার গল্প বলে। আরও বাঁচার ইচ্ছেকে বাড়িয়ে দেয়। ওনার সংলাপে, ” কলকাতার বাইরে বেরোলই বাঙালির বয়স ঝুপ করে কমে যায়।” ফেলুদা তো আজকেও বাঙালি মনকে গোয়েন্দা হওয়ার স্বপ্ন দেখায়। সোনার কেল্লা তোঁ আসলে একটা মাইলফলক। যা ছোঁয়া যায় না, শুধু অনুভব করা যেতে পারে।

Advertisements

পথের পাঁচালি বানাতে গিয়ে তিনি নিজের স্ত্রীর গহনা বন্ধক রেখেছিলেন। সেই সোনা যে চিরকালীন হয়ে যাবে তা কে জানত। একটা সময়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে তাঁর হাতেখড়ি । তারপরে তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তিনি মহারাজা হয়ে উঠেছিলেন। তাই তো তাঁর জন্মদিনে kolkata 24×7-এর সেলাম। মহারাজা, তোমারে সেলাম।