বৃহস্পতিবার যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্য নির্বাচনী সভা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এইদিন যাদবপুর লোকসভার অন্তর্গত রানিকুঠির যুব সংঘের মাঠে বিরাট জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। বিজেপির এই জনসভা সংকল্প যাত্রার অন্তর্গত। যে জনসভার মূল মন্ত্র এইবার ৪০০পার! অন্যদিনের তুলনায় এইদিন শুভেন্দু অধিকারীকে অনেকটা চনমনে দেখা গিয়েছে। অনেকটা বাঁধনযুক্ত, অনেকটা পরিণত ভাষণ।
অনান্য দিনের মতোই প্রার্থীর প্রাথমিক পরিচয় দিয়ে শুরু করেন। অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচয় পর্বের পর তিনি শুরুতেই বলেন, ”এই জনসভাতে আরও তিনচার হাজার লোক আসত।” তারপরেই বাকি জনসভার মতো ঘাসফুলের দুর্নীতি প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তার ঠিক পরেই আবার ফিরে যান ‘ইউক্রেনে’মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে তিনি আবার সেই একই কথা তুলে ধরেন।
তবে আজকে তাঁর মুখে সিপিএমের প্রসঙ্গ শোনা গেল। এতদিনে তাঁর মুখে খুব এইটা সিপিএম প্রসঙ্গ শোনা যায় না। প্রচার কেন্দ্র যাদবপুর বলে কি সিপিএমের কথা শোনা গেল ? বেশ কিছুক্ষণ সিপিএমের কথা বলেই তিনি আবার ফিরে গেলেন তৃণমূলের দুর্নীতি প্রসঙ্গে। ইলেকট্রিক বিল নিয়েও তিনি আজ মুখর হয়েছেন। মোদীর ‘গ্যারেন্টি’ নিয়ে তিনি ফের একবার জনসমক্ষে তুলে ধরেন।
প্রসঙ্গত এইদিন দুপুরে বসিরহাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে ওঠা ‘শোরগোলের’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ”’স্বাস্থ্যসাথী কি তৃণমূলের পৈতৃক সম্পত্তি নাকি ?” এইদিনের মিনিট ত্রিশের বক্তব্যের সবচেয়ে লক্ষণীয় দিক, ‘নো ভোট টু টিএমসি’ এবং সিপিএমের প্রসঙ্গ।