নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শান্তনুর জামিন হাই কোর্টে,এবার কী সিবিআইয়ের হেফাজতে নেওয়ার প্রস্তুতি?

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (West Bengal Recruitment Case) আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্ট থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন হুগলির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়।…

Sanatani meeting Kolkata

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (West Bengal Recruitment Case) আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্ট থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন হুগলির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়(West Bengal Recruitment Case)  ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া শান্তনুকে জামিন দিল বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের একক বেঞ্চ। তবে এই জামিন শুধুমাত্র ইডির মামলায়(West Bengal Recruitment Case) । অন্যদিকে, সিবিআইয়ের মামলায় শান্তনুকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য এ দিনই আদালতে আবেদন করার কথা রয়েছে।

২০২৩ সালের ১০ মার্চ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ইডি। এই মামলায় শান্তনুর নাম উঠে আসে নিয়োগ দুর্নীতির (West Bengal Recruitment Case) আরেক অভিযুক্ত তাপস মণ্ডলের বয়ানের ভিত্তিতে। তাপস অভিযোগ করেন, হুগলির এই দুই প্রাক্তন তৃণমূল নেতা, কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু, নিয়োগ দুর্নীতি চক্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।

   

শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ইডি (West Bengal Recruitment Case) কর্মকর্তারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরিপ্রার্থীদের একটি তালিকা উদ্ধার করেন। এই তালিকায় রাজ্যের ১৭টি জেলার মোট ৩৪৬ জন প্রার্থীর নাম ছিল। ইডির চার্জশিট অনুযায়ী(West Bengal Recruitment Case) ২৬ জন প্রার্থীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে শান্তনু ১ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। সেই টাকা বিভিন্ন ভুয়া নামে অ্যাকাউন্ট খুলে সাদা করার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ।

ইডির চার্জশিটে (West Bengal Recruitment Case) শান্তনুর স্ত্রী এবং তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। চার্জশিট অনুযায়ী(West Bengal Recruitment Case) , শান্তনুর স্ত্রীর সংস্থা থেকে ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে জমি কিনেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। তবে পরে তাঁকে সেই জমি দেওয়া হয়নি, এমনকি জমা করা ৪০ লক্ষ টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি।

ইডির মামলায় জামিন পেলেও শান্তনুকে এ দিনই বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির করানোর কথা। সিবিআই ইতিমধ্যেই শান্তনুকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেছে। সোমবার সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে ‘কালীঘাটের কাকু’ এবং শান্তনুকে হাজির করানোর জন্য আবেদন করা হয়েছিল, যা আদালত মঞ্জুর করে। সিবিআইয়ের ধারণা, নিয়োগ দুর্নীতির মূল পরিকল্পনা ও অর্থের প্রবাহ সম্পর্কে আরও তথ্য পেতে শান্তনুকে জেরা করা জরুরি।

ইডির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, শান্তনুর নামে থাকা বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে উল্লেখযোগ্য অংকের টাকা জমা পড়েছে। এই টাকার উৎস এবং এর গন্তব্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে তদন্ত চালাচ্ছেন আধিকারিকরা।

এছাড়াও, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু প্রভাবশালী নাম ইডি এবং সিবিআইয়ের নজরে রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

শান্তনুর জামিন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে জনমনে। বিরোধী দলের নেতারা এর তীব্র সমালোচনা করেছেন। তাঁদের দাবি, ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। তবে শান্তনুর জামিন মামলাকে প্রভাবিত করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিরোধীরা।