হেরেই ফোঁস দিলীপের, ঠোঁটকাটাকে নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত RSS-র

বাংলায় বিজেপির খারাপ ফলের পরেই বঙ্গ বিজেপির অন্দরে উঠেছে নানা প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই সৌমিত্র খাঁ প্রশংসা করেছেন অভিষেকের। শুধু তাই নয় তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে প্রাক্তনী…

Dilip Ghosh Visits Delhi BJP Headquarters, Discusses Preparations for 2026 West Bengal Elections"

বাংলায় বিজেপির খারাপ ফলের পরেই বঙ্গ বিজেপির অন্দরে উঠেছে নানা প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই সৌমিত্র খাঁ প্রশংসা করেছেন অভিষেকের। শুধু তাই নয় তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে প্রাক্তনী সুজাতার প্রশংসা। এই আবহেই আগুনে ঘি ঢাললেন দিলীপ ঘোষ। নিজে হারার পরেই দলীয় নেতৃত্বর উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন রাজ্যে বিজেপির নেতৃত্ব শুয়ে পড়েছে। অন্যদিকে মেদিনীপুরে উপনির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করে জয়ী করার ভাবনা আরএসএসের(RSS)।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আরএসএস আবার দিলীপ ঘোষকেই বঙ্গ বিজেপির মুখ হিসেবে দেখতে চাই। শুধু তাই নয়, এইবার বাংলার যে যে জায়গায় বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে সেটা শুভেন্দু অধিকারীর ইচ্ছায় হয়েছে বলে খবর। আর এই হারের পিছনেই কিছুটা হলেও অধিকারী দায়ী বলে মনে করছে আরএসএস। আদি বিজেপি কর্মীদের দাবি, বাংলায় দলের চরম বিপর্যয়ের অন‌্যতম কারণ বিরোধী দলনেতার পরামর্শ মেনে নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বঙ্গ-বিরোধী একের পর এক সিদ্ধান্ত। আর এই আবহে ফের দিলীপ ঘোষকেই সম্মুখে দেখতে চাই আরএসএস।

   

আরও জানা গিয়েছে যে, দলের ইমেজ ফেরাতে উপনির্বাচনের মাধ‌্যমে দলবদলু শুভেন্দুর পরিবর্তে এবার দিলীপকেই বিরোধী দলনেতার দায়িত্বে নিয়ে আসা হোক। সংগঠনের তরফে এই প্রস্তাব বুধবার দিল্লিতে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। আর নিয়েই দলের অন্দরে ঘুরপাক খাচ্ছে অনেক প্রশ্ন। তাহলে কি বঙ্গ বিজেপিতে কি চিড় ধরতে চলছে?

Advertisements

দিলীপ ঘোষ এই হারের পর সংবাদমাধ্যকে বলেছেন, ” পশ্চিমবঙ্গে সংগঠন শুয়ে পড়েছে। কর্মীরা বেরোননি। আমি নিজে মেদিনীপুরে বুথলেভেল পর্যন্ত সংগঠন তৈরি করেছিলাম গতবার। সেখানে প্রচুর কাজ করেছিলেন সাংসদ কোটার টাকায়। মানুষ খুশি ছিল। সব দলের লোক আমার পক্ষে ছিল। যে কোনো কারণে হোক পার্টি ওখানে আর আমাকে দেয়নি। সেই সিদ্ধান্ত যে ভুল, এটা প্রমাণ হয়ে গেল।”

এই বক্তব্যের পরেই শুরু হয়েছে দলীয় কোন্দল। তাহলে কি এই হারের জন্যই দায়ী শুভেন্দু নাকি দিলীপ ঘোষকেই আবার দেখা যাবে সংগঠনের কাজে। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত কিন্তু সংগঠন কিন্তু দিলীপের হাত ধরেই শক্তপোক্ত করেছিলেন। যদিও ২০২১ সালে বিজেপির ভরাডুবির পরে তাঁকে আর সংগঠনের কাজে সেইভাবে দেখা যায়নি।