বিকেলে আরজি করে মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হয়েছে। তারপরই আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন একদল বিশিষ্টজন। তার মধ্যেই মামলার নথিপত্র সংগ্রহে টানা থানায় গিয়ে পৌঁছান সিবিআই আধিকারিকরা। এদিকে, সেই সময়ই ফের নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল আরজি কর চত্বরে! উত্তাল হাসপাতাল চত্বর।
গত পাঁচদিন ধরে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চার তলার সেমিনার হল যাবতীয় আলোচনার কেন্দ্রে। সেই হলঘরে ধর্ষণ এবং খুন করা হয় এক জুনিয়র চিকিৎসককে। ঘটনাস্থল যেখানেই, তার পাশেই একটি রয়েছে একটি ঘর। সেই ঘরই ঘর ভাঙার উদ্যোগ নিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ! যা নিয়েই নানা প্রশ্ন! হঠাৎ কেন এই উদ্যোগ? তাহলে কি ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রমাণ লোপাটেই এই তৎপরতা? প্রশ্ন তুলে সোচ্চার হলেন বাম ছা্ত্র-যুবরা।
বুধবার রাজ্যজুড়ে বন্ধ থাকবে সমস্ত আউটডোর পরিষেবা
সিপিআইএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘কোনওভাবেই আমরা প্রমাণ লোপাট করতে দেব না।’
আরজি করে পৌঁছাতেই অপর্ণা সেনকে ‘চটিচাটা’ বলে কটাক্ষ
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে টালা থানায় যায় সিবিআই। সূত্রের খবর, আরজি কর-কাণ্ডের সার্টিফাইড কপি নিতে থানায় যান সিবিআই আধিকারিকরা। উল্লেখ্য,এ দিনই রাজ্যপুলিশের হাত থেকে আরজি করে মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের মামলা সিবিআই-এর হাতে হস্তান্তর করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
দেওয়াল লিখন আঁচ করেই শোরগোল ফেলা আর্জি ‘পুরষ্কৃত অধ্যক্ষ’ ডাঃ সন্দীপের
হাসপাতালের অন্দরের খবর, মেডিক্যাল কলেজের পদত্যাগী অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নির্দেশেই চারতলার সেমিনার হলের পাশের ঘর ভাঙার কাজ শুরু হয়েছিল। পুলিশের উপস্থিতিতে গত সোমবার এই কাজ শুরু হয়েছিল।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার আরজি করে গিয়েছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। ওই ঘর ভাঙার কাজ দেখেই প্রতিবাদ করেন তাঁরা। ফলে বন্ধ হয়ে যায় ঘর ভাঙার কাজ। তবে বিকেলের পর ঘর ভাঙার খবর ছড়াতেই পরিস্থিতি ঘোরাল হয়। বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বাম ছাত্র, যুবরা।