ছটপুজোর প্রাক্কালে সবজি-ফলের বাজারে আগুন

শাকসবজির দাম (Vegetable Price) বাড়লে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়ে। গাজর সেখানে প্রায় ৮০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি তো ৩০ টাকা থেকে ৪০…

Vegetable Price

শাকসবজির দাম (Vegetable Price) বাড়লে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়ে। গাজর সেখানে প্রায় ৮০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি তো ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, নতুন করে জমিতে ফলন না হলে জোগান বাড়বে না সবজির। আর তা না হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হচ্ছে না।

চেন্নাইয়ের কোয়াম্বেডু পাইকারি বাজারে মঙ্গলবার সবজির দাম (Vegetable Price) নিয়ে কিছু অস্থিরতা লক্ষ্য করা গেল। চলতি মাসে বিভিন্ন শাকসবজির দাম কিছুটা কমেছে, আবার কিছু সবজির দাম বেড়েও গেছে। সাধারণত, মৌসুমী পরিবর্তন, পরিবহন সমস্যা, এবং জলবায়ু পরিস্থিতি এসব কারণই সবজি বাজারের দামে ওঠানামা ঘটানোর জন্য দায়ী। তবে, গত ৩ নভেম্বর থেকে আজকের ( ৭নভেম্বর) পরিস্থিতি অনুযায়ী, কিছু সবজি যেমন মটরশুঁটি এবং শিমের দাম কমেছে, আবার কিছু সবজির দাম বেড়েছে।

   

মটরশুঁটি ও শিমের দাম (Vegetable Price) এই সপ্তাহে বেশ কমেছে। ৩ নভেম্বর, মটরশুঁটির দাম ছিল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, তবে আজকের (৫ নভেম্বর) বাজারে তা কমে ৫০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। একইভাবে, শিমের দামও ৫৫ টাকা থেকে ৪৫ টাকায় নেমে এসেছে। এই দামের কমার পেছনে মূলত আবাদি জমিতে মটরশুঁটি ও শিমের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং পরিবহন সুবিধার উন্নতি বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া, কয়েকটি রাজ্য থেকে নতুন শিম ও মটরশুঁটি আসার ফলে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে, যা দাম কমানোর প্রধান কারণ।

টমেটরের দাম ১২০.৬৮% বেড়ে প্রতি কিলোগ্রাম ৬৪ রুপি হয়ে গেছে, যা এক বছর আগে ছিল মাত্র ২৯ টাকা। বিশেষ করে, বৃষ্টির কারণে টমেটরের উৎপাদন এবং সরবরাহে সমস্যা দেখা দেয়, যার ফলে দাম বেড়ে গেছে। অন্যদিকে, পেঁয়াজের দামও (Vegetable Price) ৪৬% এবং আলুর দাম ৫১% বেড়েছে, যা খুচরা বাজারে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাব ফেলেছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, নভেম্বর মাস থেকে টমেটরের দাম কিছুটা স্থিতিশীল হতে পারে। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং হিমাচল প্রদেশ থেকে টমেটরের নতুন সরবরাহ বাজারে আসতে শুরু করবে, যা দাম কমানোর সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। এই সরবরাহ বৃদ্ধি টমেটরের দাম কমাতে সহায়ক হবে এবং বাজারে কিছুটা স্বস্তি এনে দিতে পারে।

তবে, বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে, অন্যান্য শস্য এবং সবজির দাম সাময়িকভাবে স্থিতিশীল হলেও, মূলত কৃষি উৎপাদন এবং পরিবহন খরচের উপর নির্ভর করে দাম বাড়তেও পারে। এর ফলে গৃহস্থালি খাদ্যের দাম কমবে না, বরং দীর্ঘমেয়াদে কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।