কর্মবিরতি প্রত্যাহারের জন্য আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। কিন্তু, তাতে লাভ হল না। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আপাতত কর্মবিরতি চলবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাফ জানিয়ে দিলেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। ফলে রোগী ও তাদের পরিবারের হয়রানি জারি থাকল।
আরজি কর হাসপাতালের আন্দোলনকারী চিকিৎস অনিকেত মাইতি বলেছেন, ‘এরপর ২২ অগস্ট আরজি কর নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি রয়েছে। সেদিন কী হয় তা দেখার পরই কর্মবিরতি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ আগামী বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে সিবিআইয়ের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
সরকারি হাসপাতালের সুরক্ষায় নয়া পদক্ষেপ রাজ্যের, নিরাপত্তায় এবার কারা?
কলকাতার সরকরি হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সামনে আসতেই শোরগোল পড়েছিল। তার মাঝেই গত ১৪ অগস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুর করে উন্মত্ত জনতা। চলে হামলাও। অভিযোগ, ওই সময় পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পাল করেছিল। এতেই আঙ্কিত চিকিৎসক ও ওই হাসপাতালে পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্যরা। প্রতিবাদে ন্যায্য সুরক্ষার দাবিতে কর্মবিরতির ডার দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। যা সমর্থন করে গোটা চিকিৎসক মহল।সেই থেকে আন্দোলন জারি রয়েছে। এই পদক্ষেপে রোগীদের অবস্থা করুণ।
ভুল স্বীকার তৃণমূলের সুখেন্দুর! মুছলেন পোস্ট, কী বলল হাইকোর্ট?
মঙ্গলবার ছিল সুপ্রিম কোর্টে আরজি করা মামলার শুনানি। সেখানে কলকাতা পুলিশের কর্মক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান বিচারপতি। প্রাক্তন সুপার ডাঃ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে দেরি নিয়েও পুলিশে কাজে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা। সরকারি হাসপাতালের সুরক্ষা দেখতে একটি টাস্ক ফোর্সও গঠন করার প্রস্তাব দেয় শীর্ষ আদালত। আরজি করের নিরাপত্তার দেখভালও সিআইএসএফ-কে দেওয়া হয়। এরপরই আন্দোলনরত চিকিৎসকদের কর্মবিরতী প্রত্যাহারের আর্জি জানানো হয়। তবে আপাতত সেই আর্জি মানতে নারাজ আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।
আরজি কর কাণ্ডে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল চিঠির সত্য উৎঘাটন করল সিবিআই