মঙ্গলে ‘সুপ্রিম’ শুনানি নিয়ে মতপ্রকাশ জুনিয়র চিকিৎসকদের

সুপ্রিম কোর্টে মঙ্গলবার ছিল আরজি কর মামলার শুনানি। সেখানে আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে সিবিআইকে বাহবা দেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এমনকি তদন্তের স্বার্থে সিবিআইকে…

Tilottama's Parents Urge People to Come Out in Support on February 9

সুপ্রিম কোর্টে মঙ্গলবার ছিল আরজি কর মামলার শুনানি। সেখানে আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে সিবিআইকে বাহবা দেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এমনকি তদন্তের স্বার্থে সিবিআইকে ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে না আনার নির্দেশও দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্যকে বিজ্ঞপ্তি ঠিক করার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি নির্যাতিতার নাম উইকিপিডিয়া থেকে সরানোরও নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। কিন্তু আজকে শুনানির লাইভ স্ট্রিমিং দেখার পর কী বলছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা (RG Kar Doctors Protest)?

স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানরত আরজি করের সার্জারি বিভাগের জুনিয়র ডাক্তার দেবদূত ভদ্র জানিয়েছেন, “আজকের শুনানি যথেষ্ট সন্তোষজনক। আইনজীবী আমাদের সমস্যাগুলো যথাযথভাবে আদালতে তুলে ধরেছেন। আমরা জিবি করে আমাদের পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাব। তবে আরজি করে যা যা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তার সবটা এখনও হয়নি। পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসিটিভি কিংবা নিরাপত্তা রক্ষী এখনও মোতায়েন হয়নি। আমরা চাই সেগুলো দ্রুত করা হোক।”

   

আন্দোলনের অন্যতম মুখ অনিকেত মাহাতো বলেছেন, “তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে আরও সুস্পষ্ট আলোচনার প্রয়োজন ছিল। তবে পাশাপাশি আমরা মনে করি, নিরাপত্তা প্রসঙ্গে আমাদের যা যা দাবি ছিল, সেগুলিকে সুপ্রিম কোর্ট আজ মান্যতা দিয়েছে। অর্থাৎ আমাদের ন্যায়সঙ্গত দাবি এখন আইনসঙ্গত দাবিতে পরিণত হয়েছে। এখন রাজ্য-প্রশাসনের তরফ থেকে কাল যা যা সদর্থক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, সেগুলি যাতে বাস্তবায়িত হয়, সে দিকে তাকিয়ে আছি।”

অন্যদিকে এক আন্দোলনকারী অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “মনে রাখতে হবে, এটি একটি ‘প্রাতিষ্ঠানিক খুন’। অর্থাৎ এর নেপথ্যে শুধুমাত্র নিরাপত্তা কিংবা তথ্য প্রমাণ লোপাটের প্রশ্ন নেই। বরং যাঁরা এই ঘটনা ঘটানোর সাহস পেয়েছেন, তাঁরা জানতেন তাঁরা ধরা পড়বেন না। তাঁরা কোন প্রভাবশালী ব্যক্তির মদতে এমন সাহস পেলেন, সে সব নিয়েও ভাবার অবকাশ আছে। এই প্রশ্ন আমরা গতকাল মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর সামনেও তুলেছি। এবং এই প্রশ্নগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে না দেখলে আমরা যে কর্মবিরতি তুলে কাজে ফিরতে পারব না, তাও জানিয়েছি।”

মঙ্গলবার মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্যের বিজ্ঞপ্তিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজ্য আইনজীবীর ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে চিকিৎসক রিয়া বেরা জানিয়েছেন, “আমার সঙ্গে যে ছেলেরা পড়াশোনা করছে, আমরাও তাদের সমান পড়াশোনা করেই এই জায়গায় পৌঁছেছি। তাহলে কর্মক্ষেত্রে আমরা সমান সুযোগ পাব না কেন? আমরা তো খাঁচার পাখি নই!” তবে জানা গেছে, মঙ্গলবার সমস্ত কলেজের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকের পর নিজেদের পরবর্তী পদক্ষেপ ঘোষণা করবেন আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা।