আর জি কর কাণ্ডের মর্মান্তিক ঘটনার এক বছর পেরিয়ে (RG Kar) আসছে, আর এই এক বছরে শোক, ক্ষোভ এবং নির্যাতিতার পরিবারের দীর্ঘ সংগ্রামের চিত্র বারবার উঠে এসেছে। গত এক বছর ধরে একের পর এক দাবি এবং প্রতিবাদ উঠে এসেছে, কিন্তু সরকারি ব্যবস্থার পক্ষ থেকে সেভাবে কোনো কার্যকরী (RG Kar) পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। আর এই পরিস্থিতি নিয়েই আগামী ৯ আগস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের মা-বাবা। একদিকে, অপরাধীর শাস্তি এবং ন্যায়বিচারের দাবি, অন্যদিকে রাজ্যের সরকারের ভূমিকার বিরুদ্ধে তাদের প্রতিক্রিয়া — এভাবেই প্রতিবাদে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করেছেন তাঁরা(RG Kar)
শুভেন্দু অধিকারী ও নবান্ন অভিযানের ডা(RG Kar)
৭ জুলাই শনিবার সোদপুরে উলটোরথের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অনুষ্ঠান শেষে তিনি যান আর জি করের নির্যাতিতা তরুণীর বাড়িতে এবং সেখানে পরিবারের সঙ্গে একত্রিত হয়ে নবান্ন অভিযানের ডাক দেন। নির্যাতিতার বাবা, শুভেন্দুর পাশে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দেন, “এই ঘটনা এক বছর পূর্ণ হচ্ছে, কিন্তু আমাদের কোনও ন্যায়বিচার এখনও পাইনি। রাজ্য সরকারের ভূমিকা এবং আদালতে সরকারের যা মনোভাব, তাতে এটা স্পষ্ট যে তারা আমাদের ন্যায় বিচারের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।”(RG Kar)
নির্যাতিতার পরিবারের এক বছরব্যাপী সংগ্রাম(RG Kar)
আর জি কর কাণ্ডের পর নির্যাতিতার পরিবার দীর্ঘদিন(RG Kar) ধরে একের পর এক অভিযোগ এবং দাবি তুলে ধরেছেন। সরকার এবং প্রশাসন থেকে উপযুক্ত পদক্ষেপ না পেয়ে তারা বিভিন্ন স্তরে আন্দোলন চালিয়ে গেছেন। তবে এক বছরের ব্যবধানে তারা কিছুই পায়নি, এমনকি অপরাধীদের(RG Kar) শাস্তির জন্য তাদের প্রয়াসের কোনো দৃশ্যমান ফলও হয়নি। নির্যাতিতার বাবা বলেছেন, “আমার মেয়ের জীবন(RG Kar) ধ্বংস হয়েছে, আর তার নির্মম পরিণতির জন্য সরকার দায়ী। তারা কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারে না। আমাদের প্রতি সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি এবং আচরণ স্পষ্টভাবে আইন ও সুবিচারের প্রতি অবজ্ঞা।”(RG Kar)
১৪ আগস্ট রাত দখলের আহ্বান(RG Kar)
নির্যাতিতার বাবা জানান, “গত বছরের(RG Kar) ১৪ আগস্ট, কোটি কোটি মানুষ রাত দখলে নেমেছিলেন। এবারও আগামী ১৪ আগস্ট আমরা সেই আন্দোলন ফের শুরু করতে চাই। সরকারকে বুঝিয়ে দিতে হবে যে, তারা অন্যায় করছে। আমাদের সমাজে এরকম ঘটনা বারবার ঘটতে থাকবে যদি সরকার এবং প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা না নেয়। তাই আমি সবাইকে আহ্বান করছি, ১৪ আগস্ট মানুষ যেন আবার রাস্তায় নামে, যাতে সরকারকে চাপে রাখা যায়।(RG Kar)
এছাড়া, তিনি কসবা এলাকা এবং ল-কলেজের নির্যাতিতা ছাত্রীর প্রসঙ্গও তুলে ধরেন। “এই ধরনের ঘটনায় আমরা নির্যাতিতাদের পাশে আছি। প্রয়োজনে আইনি সহায়তা এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ করব,” বলেও তিনি জানিয়েছেন।
বিশাল আন্দোলনের প্রস্তুতি(RG Kar)
নির্যাতিতার পরিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়ার পর (RG Kar) থেকেই রাজ্যজুড়ে এই আন্দোলন নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত, এবং তাদের দাবি, শুধু সঠিক বিচার নয়, সমাজে এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তার জন্য শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। আগামী ৯ আগস্ট নবান্ন অভিযানে কলকাতা ও অন্যান্য শহর থেকে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।(RG Kar)
সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন(RG Kar)
নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার(RG Kar) অভিযোগ উঠেছে যে, সরকার শুধুমাত্র মুখে ন্যায়বিচারের কথা বলেছে, কিন্তু কার্যত কোনো পদক্ষেপই নেয়নি। রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন তারা। একইসাথে, তারা বলেছেন, “সরকারকে কখনোই দুর্বল ভাবা উচিত নয়। তারা যদি অপরাধীদের শাস্তি না দেয়, তবে এরকম ঘটনা বারবার ঘটবে।”(RG Kar)
এই পরিস্থিতিতে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “এই ধরনের ঘটনায় যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল, কিন্তু সরকার নীরব দর্শক হয়ে রয়েছে। তাদের যদি দৃষ্টি না খুলে, তবে রাজ্যের সাধারণ মানুষই এগিয়ে আসবে।(RG Kar)
এক বছরের প্রতিবাদ এবং আশা(RG Kar)
আর জি কর কাণ্ডের এক বছর পূর্ণ হতে চললেও এখনও নির্যাতিতা পরিবার এবং সাধারণ মানুষ একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারের কাছে তারা ন্যায়বিচারের(RG Kar) আশা করছেন। একদিকে, ৯ আগস্টের নবান্ন অভিযান এবং ১৪ আগস্টের রাত দখল আন্দোলন এই দুই কর্মসূচি থেকে সরকারের প্রতি তাদের বার্তা স্পষ্ট — অপরাধীকে শাস্তি দিন এবং সমাজে ন্যায়বিচারের প্রতিষ্ঠা করুন।(RG Kar)
এটি কেবল একটি আন্দোলন নয়, বরং সেই সব মানুষদের জন্য এক রকমের সংগ্রাম, যারা প্রতিদিন অন্যায় ও অমানবিকতার শিকার হচ্ছেন, কিন্তু তাদের শাস্তি মেলছে না। আন্দোলনকারীরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, তাদের একত্রিত হয়ে আন্দোলন করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই, যাতে সমাজে সুবিচারের চর্চা সম্ভব হয়।(RG Kar)