বৈঠক শেষ গেল৷ রাজ্য সরকারের সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors meeting) বৈঠকে কোন আন্দোলনকারীদের দাবিকেই মান্যতা দেওয়া হল৷ তবে আন্দোলনকারীদের কয়েকটি দাবি এখনই সরকার মানতে অস্বীকার করে৷ ৷ আন্দোলনকারীরা স্বাস্থ্য সচিব এবং দুই স্বাস্থা কর্তার অপসারণের দাবি করেছিল বৈঠকে৷ কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় এখনই কোন রদবদল সম্ভব নয়৷ তবে সর্বশেষ খবরে জানা গিয়েছে, এই দাবিতে সরকার পক্ষ সম্মতি দিয়েছে৷ তবে বৈঠকে ঠিক কী কী সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি৷ সোমবার কালিঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এমনটাই জানাল আন্দোলনকারীরা। তাঁদের তোলা সেই পাঁচ দফা দাবির অধিকাংশই রাজ্য প্রশাসন মেনে নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিন প্রথমে নিজেদের পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে স্মারকলিপি তুলে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বৈঠকে ছিলেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যে ঘরে বসে কাজ করেন তিনি, সেখানেই জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কালিঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ভিডিও রেকর্ডিং নয়, শুধুমাত্র দু’পক্ষের কার্যবিবরণীতে স্বাক্ষর করা হবে। সোমবার এই যুক্তিতেই শেষপর্যন্ত বৈঠকে রাজি হন জুনিয়ার ডাক্তারদের। এদিন মুখ্যসচিবের পাঠানো মেলের পর পাল্টা রাজ্যকে মেল করেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। সেই বৈঠকেই ফের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি নিয়ে সকলেই সম্মত হয়েছেন। সেই মতো বিকেল পাঁচটায় আগের দিনের বাসে করেই তাঁরা ফের কালিঘাটে যাবে বলে ঠিক হয়েছে। তবে সেই মেলে দুপক্ষের ভিডিওগ্রাফির করার এবং কার্যবিবরণীতে স্বাক্ষর করার আর্জি জানানো হয়। কিন্তু শেষপর্যন্ত ভিডিও গ্রাফির দাবি থেকে সরে আসেন আন্দোলনকারীরা। রাজ্যের দাবিতে মেনেই উভয়পক্ষের কার্যবিবরণী হস্তান্তরে রাজি হন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের বিস্তারিত কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ করবেন দু’পক্ষই। তবে বৈঠকে দুজন স্টেনোগ্রাফার নিয়ে যাওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁরা। সেই মতো বাসে করে দুজন স্টেনোগ্রাফার নিয়ে যান আন্দোলনকারীরা। কিন্তু রাজ্যের তরফে এই বিষয়ে কোনও সবুজ সঙ্কেত না মিললেও পরে অন্যান্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে প্রবেশ করেন ওই দুই স্টেনোগ্রাফার।
নিজেদের মধ্যে আলোচন করে তবেই বৈঠকে বসার বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা। এদিন রাজ্যের পাঠানো মেলে স্পষ্ট জানানো হয়, গত ৯ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, গত মঙ্গলবার অর্থ্যাৎ ১০ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টা থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফিরতে হবে। নাগরিক হিসাবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পালন করা আমাদের কর্তব্য। তাই এটা আপনাদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক করানোর জন্য আমাদের তরফে পঞ্চম এবং শেষতম চেষ্টা। খোলামনে আলোচনার জন্য কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে আপনাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি, সুচিন্তার জয় হবেই। চিঠিতে দুপক্ষের আলোচনার মিনিটস বা কার্য বিবরণী শেয়ার করা হবে বলে পরিস্কার জানানো হয়েছে। তবে লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ে কোনও উল্লেখ ছিল না রাজ্যের তরফে পাঠানো মেলে।