৭৫ মিনিট বাথরুমে ছিলাম,তাই সিবিআইয়ের ডাক শুনিনি, অকপট স্বীকারোক্তি সন্দীপের

আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডে সিবিআই কর্তারা কিছুদিন আগেই সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে যান। কিন্তু তাঁর বাড়িতে গিয়ে প্রায় দেড় ঘন্টা বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়…

sandip ghosh was given a clean chit by his wife in the rg kar case

আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডে সিবিআই কর্তারা কিছুদিন আগেই সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে যান। কিন্তু তাঁর বাড়িতে গিয়ে প্রায় দেড় ঘন্টা বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাঁদের। যা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। প্রশ্ন উঠতে থাকে কেন এক দেরী করে দরজা খুললেন তিনি? তাহলে সত্যিই কী কিছু লুকোচ্ছিলেন? তবে সেই প্রশ্নের জবাবে মুখ খুলেছেন আরজী করের প্রাক্তণ অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।

দশদিনের মধ্যে ধর্ষণবিরোধী বিল পাশ করে রাজভবনে পাঠাবো, কড়া বার্তা মমতার

   

বুধবার তিনি বলেন, “শৌচাগারে ছিলাম, তাই শুনতে পাইনি।’’ বাড়ির বাইরে সিবিআই কর্তাদের ৭৫ মিনিট দাঁড় করিয়ে রাখার এমনই কারণ দর্শালেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। জানালেন, কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকেরা বাড়ির বাইরে অপেক্ষারত, তা তিনি বুঝতেই পারেননি। যদিও তাঁর এ হেন ‘অজুহাত’-এর আদৌ সত্যতা রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে সিবিআই।

গত রবিবার আরজি কর কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সকাল সকাল সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআইয়ের একটি দল। সকাল ৬টা ৫০ মিনিট নাগাদ দলটি সন্দীপের বাড়ির সামনে পৌঁছে যায়। দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে শুরু হয় ডাকাডাকি। কিন্তু দরজা খোলেনি। মেলেনি সাড়াশব্দও। ক্রমে বাড়ির বাইরে স্থানীয়দের ভিড় জমতে শুরু করে। পেরিয়ে যায় এক ঘণ্টা। এর মাঝে সন্দীপকে একাধিক বার ফোনও করেন সিবিআই কর্তারা।

পুলিশের কাঁদানে গ্যাস খেয়ে অসুস্থ সুকান্ত, গাড়িতে করে ছাড়লেন বিক্ষোভস্থল

রবিবার সকালে ওই মামলার সূত্রেই কেষ্টপুরে দেবাশিসের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল সিবিআইয়ের একটি দল। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত তল্লাশি চালানোর পরে বিকেল ৪টে নাগাদ দেবাশিসকে নিয়ে তাঁর বাড়ি থেকে বের হয় সিবিআই।

ক’দিন পর মহারাষ্ট্রে ভোট, মোদীর উদ্বোধন করা শিবাজী মূর্তির ভাঙায় চাপে বিজেপি

দেবাশিস আরজি করের ফরেন্সিক বিভাগের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে যুক্ত। ওই বিভাগের ডেমনস্ট্রেটর পদে রয়েছেন তিনি। এ ছাড়া, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের কাউন্সিলেরও সদস্য তিনি। রয়েছেন কলেজের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের (এনএমসি) কমিটিতেও। সম্প্রতি প্রাক্তন ডেপুটি অধ্যক্ষ আখতার আলির বয়ানে এই ‘সন্দীপ ঘনিষ্ঠ’ দেবাশিসের নাম উল্লেখ রয়েছে। সন্দীপ ঘোষের একাধিক আর্থিক কেলেঙ্কারীতে দেবাশিসের নাম থাকায় এবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেল সিবিআই।
কিছুদিন আগেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে তিন সদস্য সিট গড়েছিল রাজ্য। কিন্তু সেই সিট খারিজ করে সিবিআইয়ের হাতেই তদন্তভার তুলে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।