সময় যত গড়াচ্ছে আরজি কর (RG Kar case) কাণ্ডের গতিধারা আরও বিস্তৃত হয়ে পড়ছে। প্রাক্তণ অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) গ্রেফতারির পর থেকেই তাঁর ঘনিষ্টদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতে থাকে। ইতিমধ্যেই দুই সন্দীপ-ঘনিষ্ট ডাক্তার অভীক দে (AvikDey) ও বিরুপাক্ষ বিশ্বাসকে (Birupaksha Biswas) নিয়ে অসন্তোষ সামনে এসেছে। সেই দুই ডাক্তারকে এবার সাসপেন্ড করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
‘অভয়া’ কাণ্ডের পরই পূর্ত বিভাগকে ঘর ‘সংস্কারে’র চিঠি দেন সন্দীপ, নয়া তথ্যে চাঞ্চল্য
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস এবং প্রাক্তন আরএমও অভীক দেকে সাসপেন্ড করেছে স্বাস্থ্য ভবন। অভিযোগ, তাঁরা দু’জনেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ‘ঘনিষ্ঠ’। বিরূপাক্ষ এবং অভীকের বিরুদ্ধে ‘দাদাগিরি’-র অভিযোগও উঠেছে। পাশাপাশি, আরজি কর-কাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে অভীকের উপস্থিতি নিয়েও একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি, অভীকের পিজিটি পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল একাধিক চিকিৎসক সংগঠন।
‘প্রধানমন্ত্রীর উচিত ক্ষমা চাওয়া’, শিবাজী মূর্তি কাণ্ডে মোদীকে কটাক্ষ রাহুলের
স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগের ক্ষেত্রে বার বার উঠে এসেছে ‘বর্ধমান শাখা’র নাম। অভিযোগ, এই সিন্ডিকেটের মাথায় ছিলেন এসএসকেএমের চিকিৎসক-পড়ুয়া অভীক। চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পরে আর জি করের সেমিনার রুমে তাঁর উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল নানা মহলে।
কংগ্রেসি পরিবার, তবুও বউয়ের হাত ধরে ‘পদ্মে-যোগ’ জাদেজার
বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ তুলে সরব হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়ার ডাক্তারেরা। তৃণমূলের এই ঘনিষ্ট নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁর কথা মতো না চললে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। আর এতেই রীতিমতো নাজেহাল কলেজের জুনিয়ার ডাক্তারেরা। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে পড়ুয়ারা সরব হলে তাঁকে বদলির সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু বিরূপাক্ষের বদলির খবর ছড়িয়ে পড়তেই বেঁকে বসেন কাকদ্বীপ মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তাঁরা। আর শেষপর্যন্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতিবাদের মুখে পড়ে বিরূপাক্ষকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য দফতর।