নেটিজেন মহলে প্রশ্ন এমন দুষ্টু-মিষ্টি হাসি দিয়ে যে দুনিয়া ভোলাভে পারে সে কি তৃ়ণমূল কংগ্রেস (TMC) বিধায়ক মদন মিত্রর ঘনিষ্ঠ মহলের কেউ একজন? নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment scam),তদম্তে ধৃত অয়ন শীলের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীকে ঘিরে একের পর এক প্রশ্ন জন্ম নিচ্ছে।
অয়ন শীলের সঙ্গে দুর্নীতিতে জড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি পুরসভার সিভিল ইঞ্জিনিয়র শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম। আর কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। ফলে চলছে জোর চর্চা।
মডেল জগতের সঙ্গে যুক্ত শ্বেতা চক্রবর্তী নৈহাটির বিজয়নগরের বাসিন্দা। ২০১৭ সাল থেকেই অয়ন শীলের সাথে পরিচয় শ্বেতা চক্রবর্তীর। কানাঘুষো চলছে কামারহাটি পুরসভায়, শ্বেতা নিছক অয়ন শীলের বান্ধবী নয়। কারণ, শ্বেতাকে বেলঘরিয়ায় ৭০ লাখের একটি ফ্ল্যাট কিনে দেয় অয়ন। সেই ফ্ল্যাটেই মামার পরিচয়ে অয়ন ঢুকত। যদিও শ্বেতা চক্রবর্তী ‘নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত নয় বলে দাবি কামারহাটির পুর প্রধানের।
মডেল শ্বেতা চক্রবর্তীকে তলব করেছে ইডি। প্রোমোটার অয়ন শীলকে জেরা করে তার খোঁজ মিলছে। শ্রেতার বিষয়ে যত জানছেন তত চমকে যাচ্ছেন ইডি অফিসাররা। শ্বেতার বাবা অরুন চক্রবর্তী বলেন অবসর সময়ে অয়নের প্রমোটিং ব্যবসার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করত মেয়ে।সেই সুবাদেই গাড়ি কেনার জন্য কিছু অর্থ দিয়েছিল অয়ন।
২০১৬ সালে কামারহাটি পুরসভায় সিভিল ইঞ্জিনিয়র পদে চাকরি পান শ্বেতা। অয়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ২০১৭ সাল থেকে। শ্বেতা-অয়নের জয়েন্ট অ্যাকাউন্টেও মোটা টাকার লেনদেন হয়েছে। মডেল শ্বেতার লক্ষ্য ছিল টলিপাড়া। অয়নের বান্ধবী হয়ে শ্বেতা টলিউডে ঢুকেছিল। অয়ন শীলের ছবিতেই শ্বেতার ডেবিউ।