পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্র বিভাগ (West Bengal Home Department) চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা, শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সোমবার টুইট করেছেন, নিরাপত্তার বিষয়টি উত্থাপন করে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) কটাক্ষ করেছেন এবং উত্তর চেয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী তার টুইটে কটাক্ষ করেছেন যে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র বিভাগ মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব। ভাইপো কি পরোক্ষভাবে নবান্নের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় ধরে রাখবেন? সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র দপ্তরে ৩টি পদে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ অফিসে অস্থায়ী কর্মচারী নিয়োগ করছেন শুভেন্দু অধিকারী। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ ও গোপনীয় তথ্য কেন স্থায়ী সরকারি কর্মচারীর পরিবর্তে চুক্তি কর্মচারীদের হাতে থাকবে?
শুভেন্দু অধিকারী টুইট করেছেন এবং প্রশ্ন করেছেন, “কেন শূন্যপদ তৈরি না করে এবং পিএসসিকে বাইপাস না করে নিয়োগের এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? রাজ্যে একজন ডেটা অপারেটরের বেতন প্রায় ১৩,০০০ টাকা। বিদ্যমান বিজ্ঞপ্তিতে, একই পদের জন্য বেতন স্কেল হবে ২৫,০০০ টাকা। এমন অনেক প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীদলীয় নেতা। সমান কাজের জন্য সমান বেতনের দাবি তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার তদন্তে অনেক চমকপ্রদ তথ্য সামনে এসেছে।
Is @MamataOfficial bringing IPAC into the Chief Minister's Office (CMO) or Bhaipo taking over?
CMO has asked the Home Dept to recruit Contractual Consultants, Junior Consultants & Data Entry Operators for State Public Grievance Redressal Cell (under the CMO) by 3rd Party Agency. pic.twitter.com/8t32KFFquR
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) March 20, 2023
সোমবার সকালে শুভেন্দু অধিকারী তার টুইটার হ্যান্ডেলে একটি প্রশ্ন করেন। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে ঢোকার দরজা খুলবে কি পিকে-র সংগঠন? বিরোধী দলের নেতা প্রশ্ন তুলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রীর স্বরাষ্ট্র দফতরে IPAC নামক সংস্থার মাধ্যমে অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মচারী নিয়োগ হচ্ছে? এক লাখ ২৫ হাজার টাকা বেতনে চুক্তি পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। জুনিয়র কনসালটেন্ট পদে ৭৫ হাজার টাকায় নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদেরও চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
প্রশ্ন উঠছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্থায়ী কর্মীদের জায়গায় ঠিকাদারী কর্মী নিয়োগ হচ্ছে কী করে? এতে কি আদৌ নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে?অস্থায়ী কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ও গোপন তথ্য দেবেন, রাষ্ট্রের জন্য কতটা নিরাপদ? কেন শূন্যপদ সৃষ্টি না করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীদলীয় নেতা।