রেশন বিতরণে নতুন সিদ্ধান্ত,কমানো হল চাল, নয়া মাস থেকে কত কেজি চাল পাবেন জেনে নিন

দেশের একটা বড় সংখ্যক মানুষ এই রেশনের (Ration Card) উপরই নির্ভরশীল। এবার রেশন কার্ড নিয়েই রয়েছে বড় খবর। বদলে গেল রেশন কার্ডে বরাদ্দ শস্যের নিয়ম।…

ration card

দেশের একটা বড় সংখ্যক মানুষ এই রেশনের (Ration Card) উপরই নির্ভরশীল। এবার রেশন কার্ড নিয়েই রয়েছে বড় খবর। বদলে গেল রেশন কার্ডে বরাদ্দ শস্যের নিয়ম। রেশনে (Ration Card) প্রাপ্ত চাল ও গমের পরিমাণে বদল এল। ১ নভেম্বর থেকেই এই নতুন নিয়ম কার্যকর হয়েছে।

এই নতুন ব্যবস্থায়, রেশন কার্ডধারীদের (Ration Card) জন্য চাল ও গমের পরিমাণে কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে, যা সরকারের লক্ষ্য হবে অধিক সাম্যপূর্ণ এবং ন্যায্য বিতরণ নিশ্চিত করা। এটি সাধারণ মানুষের জন্য যেমন সুবিধাজনক, তেমনি বিভিন্ন শ্রেণীর কার্ডধারীদের (Ration Card) জন্য আরো সুষম সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।আগে রেশন কার্ডে (Ration Card) তিন কেজি চাল পাওয়া যেত। গম পাওয়া যেত দুই কেজি। তবে এই মাস থেকেই তিন কেজির বদলে রেশনে আড়াই কেজি চাল পাওয়া যাবে। বরং বরাদ্দ বেড়েছে গমের (Ration Card)। এবার থেকে দুই কেজির বদলে আড়াই কেজি গম পাওয়া যাবে। রেশনে চাল ও গমের পরিমাণ সমান করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।

   

এছাড়াও, “অন্ত্যোদয়” রেশন কার্ডধারীদের (Ration Card) জন্যও রেশন বিতরণের পরিমাণে কিছু পরিবর্তন করা হচ্ছে। আগে অন্ত্যোদয় কার্ডধারীরা ২১ কেজি চাল এবং ১৪ কেজি গম পেতেন। কিন্তু এখন থেকে তারা পাবেন ১৮ কেজি চাল এবং ১৭ কেজি গম। এই পরিবর্তনে, চালের পরিমাণ কিছুটা কমানো হয়েছে, কিন্তু গমের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে অন্ত্যোদয় কার্ডধারীদের (Ration Card) জন্য গমের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলেও, চালের পরিমাণ কিছুটা কমবে।

নতুন রেশন বিতরণ পদ্ধতি নভেম্বর মাস থেকে কার্যকর হবে এবং সমস্ত রেশন কার্ডধারীদের জন্য এটি প্রযোজ্য হবে।” গোলা তহসিলের ব্যাংকেগঞ্জ এলাকায় মোট ৪৬,৭১৮ জন রেশন কার্ডধারী রয়েছেন, যার মধ্যে ৬,৪২৩ জন অন্ত্যোদয় কার্ডধারী। এদের জন্য নতুন পদ্ধতি অনুসারে চাল এবং গম বিতরণ করা হবে।

এছাড়া, এই পরিবর্তনের ফলে কিছু বিশেষ সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন, যারা অতিরিক্ত গমের উপকারিতা পেতে চান, তারা অন্ত্যোদয় কার্ডে এই সুবিধা পাবেন। অন্যদিকে, সাধারণ রেশন কার্ডধারীদের জন্য চাল এবং গমের পরিমাণে সামান্য কমানো হলেও, এটা প্রমাণিত হতে পারে যে এটি আরো অনেক মানুষের জন্য রেশন সুবিধা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।

সরকারের এই নতুন রেশন বিতরণ পদ্ধতির মূল উদ্দেশ্য হল, জনগণের মধ্যে একটি সাম্যপূর্ণ এবং সুষম বিতরণ নিশ্চিত করা। অতিরিক্ত চাল বিতরণের ক্ষেত্রে পরিবর্তন করা হলেও, এই পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম রাজ্যে অধিক জনগণের কাছে রেশন পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। সরকারের দাবি, এই পরিবর্তন শুধুমাত্র খাদ্যশস্যের পরিমাণ নিয়েই নয়, বরং সুষ্ঠু এবং দ্রুত বিতরণ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নেও সাহায্য করবে।

উত্তরপ্রদেশ সরকার যেভাবে রেশন বিতরণের পদ্ধতি পরিবর্তন করছে, তাতে একদিকে যেমন দরিদ্র জনগণের জন্য বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে, তেমনি এটি একটি উদাহরণ হতে পারে অন্যান্য রাজ্যগুলোর জন্য, যেখানেও রেশন বিতরণ ব্যবস্থায় উন্নতি আনার প্রয়াস চলছে। বিশেষত, যেখানে খাদ্যশস্যের স্বল্পতা বা পরিবহণের সমস্যা রয়েছে, সেখানে এই ধরনের পরিবর্তনগুলো পরিস্থিতি উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

নতুন বিতরণ ব্যবস্থার প্রতি এলাকার জনগণের প্রতিক্রিয়া মিশ্র। কেউ কেউ এটিকে একটি ভালো পদক্ষেপ হিসেবে গ্রহণ করছেন, কারণ এটি তাদের মতে আরও ন্যায্য বিতরণ নিশ্চিত করবে। তবে, কিছু মানুষ মনে করছেন যে চালের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া এবং গমের পরিমাণ বাড়ানো তাদের খাদ্য প্রাপ্তিতে কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে যারা বেশি চাল খেতে অভ্যস্ত তাদের জন্য। কিছু পরিবারের জন্য গম বেশি পাওয়ার বিষয়টি সুবিধাজনক হলেও, চালের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া কিছুটা অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে।

বিভিন্ন এলাকা থেকে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং সমাজকর্মীরা এই পরিবর্তনকে সাধুবাদ জানালেও, তারা আবারও দাবি করেছেন, সরকার যেন পর্যাপ্ত পর্যবেক্ষণ রাখে এবং যাতে রেশন বিতরণের কোনো অস্বচ্ছতা বা দুর্নীতি না ঘটে, তা নিশ্চিত করে।