Rajasthan: চাপে পড়ে বাল্যবিবাহ আইন প্রত্যাহার করছে রাজস্থান সরকার

নিউজ ডেস্ক: প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত বাল্যবিবাহ আইন নিয়ে পিছু হটতে বাধ্য হল রাজস্থানের (Rajasthan) অশোক গেহলত সরকার। সেপ্টেম্বর মাসে রাজস্থানে বিধানসভায় ধ্বনি…

withdrawing the child marriage law

নিউজ ডেস্ক: প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত বাল্যবিবাহ আইন নিয়ে পিছু হটতে বাধ্য হল রাজস্থানের (Rajasthan) অশোক গেহলত সরকার। সেপ্টেম্বর মাসে রাজস্থানে বিধানসভায় ধ্বনি ভোটে বাল্যবিবাহ বাধ্যতামূলকভাবে নথিভূক্তিকরণ সংশোধনী বিল পাস করানো হয়েছিল। ওই বিলে বলা হয়েছে, কোনও নাবালিকা মেয়ের বিয়ের বৈধতার জন্য ৩০ দিনের মধ্যে বিয়ের যাবতীয় প্রমাণপত্র অভিভাবককে সরকারের কাছে জমা করতে হবে। তবেই ওই বিবাহ নথিভুক্ত হবে।

কিন্তু ওই বিল পাস হওয়ার পরেই গেহলত সরকার রাজ্য জুড়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে। বিরোধীরা অভিযোগ করে, সরকার এই বিল পাস করিয়ে আসলে নাবালিকাদের বিয়েকেই উৎসাহ দিতে চাইছে। রাজস্থানে এমনিতেই বাল্যবিবাহের যথেষ্টই রমরমা আছে। এই নতুন আইনে সেটাকেই বৈধতা দেওয়া হচ্ছে। যা কখনওই ঠিক নয়।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

তাছাড়া এই আইন কেন্দ্রীয় আইনের পরিপন্থী। কারণ কেন্দ্রীয় আইনে বলা হয়েছে, ১৮ বছরের নিচে কোন মেয়ের বিবাহ অবৈধ। কিন্তু কেন্দ্রীয় আইনকেই চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে রাজস্থান সরকার। তাই অবিলম্বে এই বিল প্রত্যাহার করতে হবে। কংগ্রেসের অন্দরেও এই বিল নিয়ে যথেষ্টই মতবিরোধ ছিল। শেষ পর্যন্ত ঘরে বাইরে চাপে পড়ে এই বিল প্রত্যাহার করে নিল গেহলত সরকার।

১৭ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় বিল পাস হলেও এখনও তা কার্যকর হয়নি। বিরোধী বিজেপি প্রথম থেকেই অভিযোগ করেছে, এই বিল পাস করে রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার আসলে বাল্যবিবাহকে আইনি বৈধতা এবং উৎসাহ দিতে চাইছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রাজস্থান হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে। কংগ্রেসের অন্দরেও এই বিল নিয়েছিল মতবিরোধ। বহু কংগ্রেস বিধায়ক চাননি, এই বিল আইনে পরিণত হোক। কারণ তাঁরা জানতেন রাজস্থানে বাল্যবিবাহ একটি বড় সমস্যা। কিন্তু এই বিল পাস হয়ে আইনে পরিণত হলে সেই সমস্যা কমবে না বরং আরও বাড়বে। বাল্যবিবাহ আইনি স্বীকৃতি পেলে বাল্যবিবাহের প্রবণতা অনেক বেড়ে যাবে। যা আদতে ক্ষতি করবে রাজস্থানের নবীন প্রজন্মের।

কারণ নাবালিকাদের বেশিরভাগেরই শরীর ও স্বাস্থ্য নিতান্তই দুর্বল থাকে। এই সমস্ত নাবালিকাদের গর্ভে যে সন্তান-সন্ততি হয় তারাও যথেষ্ট দুর্বল হয়ে থাকে। ফলে রাজ্যের নবীন প্রজন্ম দুর্বল হয়ে যাবে। তাই এই বিল পাস করে আইনে পরিণত করা কখনই ঠিক নয়। শেষ পর্যন্ত ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়ে সোমবার বিশ্বকন্যা সন্তান দিবসে গেহলত সরকার জানায়, তারা রাজ্যপালকে এই বিলটি ফেরত পাঠানোর জন্য অনুরোধ করবেন। ১৭০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁরা চান রাজ্যে যেন একটিও বাল্যবিবাহ না হয়। তবে ওই বিল সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর সাফাই, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছিল সমস্ত বিয়েই রেজিস্ট্রার করতে হবে। সে কারণেই এই বিল পাস করানো হয়েছিল। তবে এই বিল নিয়ে ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে। তাই আমরা এই বিল প্রত্যাহার করার জন্য রাজ্যপালকে অনুরোধ করবো।