জেলায় জেলায় চাকরিহারাদের গর্জন, প্রতিবাদে DI অফিসে তুমুল উত্তেজনা, পুলিশের বড় পদক্ষেপ

আজকের দিনটা যেন যেন এক মহাপ্রলয়ের গল্পে পরিণত হয়েছে। জেলায় জেলায়, প্রত্যেকটা জেলা শিক্ষা দপ্তরের (ডিআই) অফিসের (Recruitment Scam) সামনে আন্দোলনরত চাকরিহারাদের প্রতিবাদে উত্তাল। এই…

Protests Surround DI Offices: The Commission's Corpse on Their Shoulders, Children on Their Laps Holding Placards

আজকের দিনটা যেন যেন এক মহাপ্রলয়ের গল্পে পরিণত হয়েছে। জেলায় জেলায়, প্রত্যেকটা জেলা শিক্ষা দপ্তরের (ডিআই) অফিসের (Recruitment Scam) সামনে আন্দোলনরত চাকরিহারাদের প্রতিবাদে উত্তাল। এই আন্দোলন শুধুমাত্র চাকরি হারানোদের ক্ষোভের প্রতিফলন নয়, বরং এটি একটি প্রতিবাদী ভাষা হয়ে দাঁড়িয়েছে যেখানে চাকরিহারারা (Recruitment Scam)নিজেদের ভবিষ্যত এবং তাদের অধিকার রক্ষার জন্য রাস্তায় নেমে এসেছে।

মেদিনীপুর ডিআই (Recruitment Scam) অফিসে যে তুমুল ঘটনাটি ঘটেছে, তা একেবারে নজরকাড়া। মঙ্গলবার সেখানে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা অফিসে তালা ঝুলিয়ে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। তাদের দাবি, চাকরির পরীক্ষার মাধ্যমে যারা যোগ্য, তাদের দ্রুত চাকরি দেওয়া হোক। তবে, তাদের প্রতিবাদ শুধু অফিসের (Recruitment Scam) বাইরেই সীমাবদ্ধ ছিল না, মেদিনীপুরে আন্দোলনরত চাকরিহারারা (Recruitment Scam) এক ধরনের প্রতীকী প্রতিবাদও দেখান। তাঁরা এসএসসি কমিশনের ‘শবদেহ’ কাঁধে নিয়ে তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করেন। এক আন্দোলনকারী বলেন, “কমিশন তো এখন এক শবদেহে পরিণত হয়েছে, যা আর কোনো কাজে আসছে না।”

এদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে কর্মসূচির (Recruitment Scam) সময়ও একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়। চাকরিহারারা মিছিল করে ডিআই অফিসের দিকে এগোচ্ছিলেন। পুলিশ মিছিল আটকানোর চেষ্টা করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং পুলিশের সঙ্গে চাকরিহারাদের (Recruitment Scam) তর্কবিতর্ক শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, “দুবছর আগে আমরা পিপিই মডেল চেয়েছিলাম, যেখানে দেখেছিলাম শিক্ষাকে বেসরকারিকরণের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে আজ, এতদিন পর, পরীক্ষা দিতে বললে কীভাবে আমাদের উঁচু মানের পরীক্ষা দেওয়ার আশা করা হয়?”

মেদিনীপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের মতো, পূর্ব মেদিনীপুরেও পরিস্থিতি ছিল উত্তপ্ত। প্রায় তিনশো জন চাকরিহারা (Recruitment Scam) শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী মানিকতলার ডিআই অফিসে গিয়ে চাবি লাগিয়ে দেন, যার মাধ্যমে তারা তাদের দাবি জানাতে চেয়েছেন যে, যোগ্যতার ভিত্তিতে তালিকা প্রকাশ করা হোক এবং যারা চাকরি হারিয়েছেন, তারা আবারও চাকরিতে (Recruitment Scam) বহাল থাকুক। এই আন্দোলন ছিল শুধু চাকরিহারাদের একটি সামাজিক অধিকার ও রাজনৈতিক সংগ্রাম, যা প্রতিটি জেলা থেকে একে একে বিভিন্ন আঙ্গিকে প্রকাশ পেতে থাকে।

Advertisements

এদিকে, চাকরিহারাদের আক্ষেপ শুধুমাত্র চাকরি হারানোর সীমিত না। তাঁদের প্রতিবাদ গভীর শঙ্কার প্রকাশ, সরকারের অঙ্গীকারের প্রতিফলন এবং আগামীদিনে যে কিছু প্রভাব ফেলতে পারে এমন বৃহত্তর আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্য। তারা একমুখী দাবি জানাচ্ছেন— “যারা যোগ্য, তাদের চাকরি দেওয়া হোক। না হলে আমাদের প্রতিবাদ থামবে না।”

এই অবস্থা থেকে স্পষ্টভাবে বোঝা যায়, সরকারের কাছে চাকরিহারাদের(Recruitment Scam) দাবি কতটা গুরুত্বপূর্ণ, আর তাঁদের ভবিষ্যতকে সামনে রেখে সমাজ ও প্রশাসন কীভাবে ব্যবস্থা নেবে, তা এখন সময়ের ওপর নির্ভর করছে।