সোমবার কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার প্রার্থী। শুধু তাই নয় অযোগ্য প্রার্থীদেরকে চার সপ্তাহের মধ্যে বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয় তাঁদেরকে ১২ শতাংশ সুদ সমেত বেতন ফেরত দিতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলকেই বাতিল ঘোষণা করেছে কোর্ট। তারপর থেকে বিভিন্ন ছবি ধরা পরে এই রাজ্যে। শুরু হয় রাজনৈতিক সংঘাত । ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে দারস্থ হয়েছে রাজ্য। কিন্তু শনিবার সকালে তাঁদের বিক্ষোভে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেধে যায় সল্টলেকের এসএসসি ভবনের সামনে। বাম যুব সংগঠনের নেতৃত্বে চাকরিহারাদের বিক্ষোভ পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশের হাতে আটক হয়েছে ১৭জন।
বাম ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে এসএসসি ভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে তাঁরা স্কুল সার্ভিস কমিশনকে একটি ডেপুটেশন দেবে। এই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। কিন্তু মিছিল গেট পর্যন্ত পৌঁছালেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। শুধু হয় ধস্তাধস্তি। করুণাময়ী এলাকার আচার্য সদনের সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে দেয়। সেই ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভকারীরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেই পুলিশ তাঁদের থামিয়ে দেয়।
এই মিছিলে যোগ্য চাকরিহারা ছাড়াও এসএফআই, ডিওয়াইএফআই-সহ বাম যুব সংগঠনের নেতৃত্ব ছিলেন শনিবারের মিছিলে। কিন্তু অবস্থা বেগতিক হতে শুরু করে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থেকে কয়েকজনকে আটক করা হয়। তাঁদের ছাড়ার দাবিতে এখনও বিক্ষোভ চলছে বলে জানা গিয়েছে।