Jadavpur University: ব়্যাগিংয়ের কারণেই স্বপ্নদীপের মৃত্যু মানছে পুলিশ

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হোস্টেল ক্যাম্পাসে মৃত্যু হয়েছে স্বপ্নদীপের। এই মৃত্যু ব়্যাগিং করার কারণেই এমনটাই দাবি পুলিশের। গোটা ঘটনায় গ্রেফতার ৯ জন। তবে গোটা ঘটনায় উঠে আসছে…

Jadavpur University: ব়্যাগিংয়ের কারণেই স্বপ্নদীপের মৃত্যু মানছে পুলিশ

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হোস্টেল ক্যাম্পাসে মৃত্যু হয়েছে স্বপ্নদীপের। এই মৃত্যু ব়্যাগিং করার কারণেই এমনটাই দাবি পুলিশের। গোটা ঘটনায় গ্রেফতার ৯ জন। তবে গোটা ঘটনায় উঠে আসছে ষড়যন্ত্রের ছাপ। সবকিছু যেন আগে থেকে পরিপাটি করে করা হয়েছে। পুলিশের জেরায় যে প্রশ্ন গুলি সামনে আসছে তা হল, শেষ পনেরো মিনিট কী হয়েছিল? কারণ বগুলার এই পড়ুয়ার মৃত্যুর পেছনে যারা দায়ী তারা পরিকল্পনামাফিক কাজ করেছিল। ব়্যাগিংয়ের সঙ্গে যুক্ত পড়ুয়া এবং প্রাক্তনীদের একাংশ হোস্টেল ছেড়েও পালায়।

চারবার তারা GB মিটিংয়ে বসে। এবং সেখানে বসেই এই ছক তারা তৈরি করে। তদন্তকারীরা এখনও পর্যন্ত তদন্ত করলেও একটি বিষয় পরিষ্কার যে, ব়্যাগিংয়ের পরেই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে।স্বপ্নদীপের মৃত্যুর পর থেকে বারংবার উঠেছে সেই ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ। তদন্তকারীরা প্রথম বর্ষের পড়ুয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিভাগের পড়ুয়াদের বয়ান এক জায়গায় করার পর তারা নিশ্চিত যে সেই রাতে স্বপ্নদীপকে এমন ভাবে হেনস্থা করা হয় যে, তার শিকার হয়েই ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়।

পুলিশের এখনও পর্যন্ত তদন্তে নজরে এসেছে এক বড় ষড়যন্ত্র। এর পেছনে রয়েছে একটি অয়েলড অর্গানাইজড গ্রুপ যা তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছে। পুলিশ এমন দাবি করছে কারণ ওই ভয়ংকর ঘটনার পর অভিযুক্তরা কী করবে না করবে তা অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে ছক কষা হয়েছিল। সেদিন GB বসে এবং পড়ুয়াদের একাংশের নির্দেশে হোস্টেলের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। যাতে সংবাদ মাধ্যম এবং পুলিশ ঢুকতে না পারে। অর্থাৎ প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছে।

Advertisements

তবে গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণের ক্ষেত্রে তদন্তকারীরা সফল। কারণ ইতিমধ্যেই ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি ঘটনার সময় এই ৯ জন উপস্থিত ছিল। এবং হেনস্তার ঘটনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। এর সঙ্গেই অন্তত পক্ষে আরো ৩ জনের নাম উঠে এসেছে যার জন্য তদন্ত চালানো হচ্ছে।