PM Modi: বাংলার পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ প্রধানমন্ত্রীর

শনিবার বিজেপির ‘পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেত্রীয় পঞ্চায়েতিরাজ’ (Kshetriya Panchayati Raj Parishad) সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন তিনি। এদিন প্রধানমন্ত্রি…

শনিবার বিজেপির ‘পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেত্রীয় পঞ্চায়েতিরাজ’ (Kshetriya Panchayati Raj Parishad) সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন তিনি। এদিন প্রধানমন্ত্রি তৃণমূলকে (TMC) কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। গত ৮ জুলাইয়ের পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) শুধু খুনোখুনি, ভোটলুট এবং বিরোধীদের উপর অত্যাচার হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের এই অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “যে ভাবে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কার্যকর্তারা ভারতমাতার জন্য, পশ্চিমবঙ্গের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য, পশ্চিমবঙ্গের ভাইবোনের জন্য সংঘর্ষ করছেন, তা এক প্রকার সাধনার সমান। নিজেদের তিল তিল করে নিংড়ে যে ভাবে পশ্চিমবঙ্গের পুরনো বৈভব ফেরানোর চেষ্টা করছেন, তা কুর্নিশযোগ্য।“

বাংলার পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই ভোটে তৃণমূল কেমন রক্তের খেলা খেলেছে, এটা সারা দেশ দেখেছে। এদের ভোটপদ্ধতি কেমন ছিল? প্রথমে ভোটে লড়ার প্রস্তুতির সময়ই দিও না। দ্বিতীয়ত, ভোটে মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য কম সময় দাও। তাই তাড়াতাড়ি ফর্ম ভরার সময় ঘোষণা করে দাও! তার পর কোনও বিজেপি অথবা বিরোধীদের কেউ যাতে মনোনয়নের ফর্ম ভরতে না পারে, তার জন্য যা করার হয় করো। তার পরেও যদি কেউ বিভিন্ন উপায়ে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য পৌঁছেও যান, তাঁকে ভোটে লড়তে বাধা দাও।’’

বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপিকে বাড়ি বাড়ি প্রচার করতেও দেওয়া হয়নি, হুমকি দেওয়া হয়েছে, পঞ্চায়েত স্তরের বিজেপি নেতা-কর্মীদের ভয় দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। এই বিষয়ে তিনি বলেন, “শুধু যে বিজেপি কার্যকর্তাদের ধমকেছে এমন নয়, ভোটারদেরও ভয় দেখিয়েছে। বিজেপি কর্মীদের যে সমর্থক এবং তাঁদের আত্মীয় আছেন, তাঁদেরও বাঁচা মুশকিল করে দেওয়া হয়েছে। আর তার পর ভোটের সময় ছাপ্পা দেওয়া হয়েছে। তখন তোলাবাজদের ফৌজ ছাপ্পাবাজের ফৌজ হয়ে যায়। সব গুন্ডাদের ভাড়া করা হয়, কী ভাবে এবং কোন কোন বুথ কে দখল করবেন তা ঠিক করে ফেলা হয়। তার পর ভোটের মেশিন নিয়ে পালানো… এবং এখানেই শেষ নয়। ভোটগণনার সময়েও বিজেপির কার্যকর্তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া, তাঁদের গণনাকেন্দ্রের কাছে থাকতে না দেওয়া— এত জুলুমের পরেও পশ্চিমবঙ্গের জনগণ বিজেপিকে আশীর্বাদ করেছেন।’’