মহালয়ার দিন স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে সাতসকালে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাঁশদ্রোণীর দীনেশগড় এলাকা (Kolkata Incident)। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় সকাল থেকেই পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করে এলাকাবাসীরা। শুধু তাই নয়, সেই ছাত্রের মৃত্যুর দায় কার সেই প্রশ্ন তুলে দুর্ঘটনাস্থলে তৃণমূল কাউন্সিলরকে আনার জন্য পুলিশকে চাপ দিতেও দেখা যায় স্থানীয়দের।
বুধবার মহালয়ার সকালে কলকাতা পুরসভার ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের এক নবম শ্রেণির ছাত্র কোচিং সেন্টারে দিকে যাচ্ছিল। কয়েকদিন ধরেই সেই সেন্টারের কাছে রাস্তা সারাইয়ের কাজ চলছিল বলে জানা যাচ্ছে। সেই সেন্টারেরই কাছে থাকা এক জেসিবি বুধবার সকালে ওই ছাত্রকে ধাক্কা মেরে পিষে দেয়। মাথায় গুরুতর চোট লাগলে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সেই এলাকার বাসিন্দারা। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে বাঁশদ্রোণী ও পাটুলি থানার ওসিকে আটক করে রেখে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিন ধরে সেখানকার রাস্তার হাল কেন বেহাল সেই প্রশ্ন তুলে ওসিকে কাদা জলে নামিয়ে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেন স্থানীয়রা। প্রসঙ্গত, বছর তিন ধরে ওই রাস্তা সারাইয়ের কাজ চলছে বলে জানা গেছে।
এখনও সেখানকার রাস্তার অবস্থা বেশ খারাপ। চারপাশে এমন গর্ত হয়ে রয়েছে যে সামান্য বৃষ্টি হলেই সেখানে জল জমে যায়। রাস্তা দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাতায়াত থেকে শুরু করে পায়ে হেঁটে পারাপার করাও বেশ বিপজ্জনক। তবে স্থানীয়রা ওসিকে আটক করে লাগাতার বিক্ষোভ চালিয়ে গেলে তাঁকে সেখান থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে স্পেশাল ফোর্স।
কিন্তু সেখানকার স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর এলে তবেই পুলিশকে যেতে দেওয়া হবে বলে জানানো হয় স্থানীয়দের পক্ষ থেকে। বুধবার সকাল ৭ টা নাগাদ এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ওই নবম শ্রেণীর ছাত্রের। তারপর প্রায় ৬ ঘন্টা পার হয়ে যাওয়ার পরেও কেন এখনও পর্যন্ত ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছলেন না স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সেই নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন সেই এলাকার বাসিন্দারা।
বর্তমানে ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে পুলিশের। তবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন সেখানকার পুলিশ।