Suvendu Adhikari: জোর করে স্বাস্থ্য ভবনের গেট টপকে ঢুকতে গিয়ে বিতর্কে শুভেন্দু

ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকায় সরব বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) শুভেন্দু অধিকারী নিজেই স্বাস্থ্য ভবনের গেট টপকে ঢুকতে গেলেন। তাঁকে পাকড়াও করল রক্ষীরা। বেশ…

ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকায় সরব বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) শুভেন্দু অধিকারী নিজেই স্বাস্থ্য ভবনের গেট টপকে ঢুকতে গেলেন। তাঁকে পাকড়াও করল রক্ষীরা। বেশ কিছুক্ষণ রক্ষীদের সাথে ধস্তাধস্তি করে রণে ভঙ্গ দিলেন শুভেন্দু ও বাকি বিজেপি বি়ধায়করা। চলে যাওয়ার আগে তিনি হুঁমকির সুরে বলে যান, ‘সব হিসাব হবে’।

রাজ্যে এর আগে কোনও বিরোধী দলনেতাকে সরকারি ভবনের গেট টপকে ঢোকার চেষ্টা করতে দেখা যায়নি। তবে নিয়োগ দুর্নীতির তদম্তে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দেখে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃ়ণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা নিজের বাড়ির পাঁচিল টপকে পালাচ্ছিলেন। তিনি ধরা পড়েন। আপাতত হেফাজতে আছেন।

   

সোমবার স্বাস্থ্য ভবনে বিজেপির অভিযান ঘিরে তীব্র হট্টোগোল পরিবেশ তৈরি হয়। দলীয় বিধায়কদের নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী স্বাস্থ্য ভবনের সামনে পৌঁছে যান। তিনি দাবি করেন, রাজ্যে ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার নিয়েছে।॥ সরকারের হুঁশ নেই। আমরা স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে স্মারক লিপি জমা দিয়ে প্রতিবাদ করব। তবে শুভেন্দুকে দেখেই ভবনের ফটক বন্ধ করে দেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। গেটের বাইরে থেকে শুভেন্দু অধিকারী এক নাগাড়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে চিৎকার করতে থাকেন। বেশ কিছুক্ষণ এমন করার পর বাকি বিধায়কদের উস্কানিতে বিরোধী দলনেতা গেট টপকে ভিতরে ঢুকতে যান। শুরু হয় রক্ষীদের সাথে ধস্তাধস্তি। রক্ষীরা শুভেন্দু অধিকারী ও বাকি বিধায়কদের আটকে দেন। গেট টপকানো সম্ভব নয় দেখে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ‘হিসেব হবে’ হুঁশিয়ারি দিয়ে চলে যান শুভেন্দু।

স্বাস্থ্য ভবনের গেট টপকে ঢুকতে না পেরে ক্ষুব্ধ হন বিরোধী দলনেতা। তিনি চলে যাওয়ার সময় বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছিলাম। মুখ্যসচিব অনুপস্থিত থাকায় দেখা হয়নি। বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, “স্বাস্থ্য ভবন কি তৃণমূলের পৈত্রিক সম্পত্তি? এখানে ২০-২২ জন বিধায়ক আর বিরোধী দলনেতাকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তৃণমূল আসার আগে এ বাড়ি হয়েছে। আর যাঁরা ভিতরে রয়েছে তাঁরা ট্যাক্সের টাকায় বেতন পান।”

শুভেন্দু অধিকারী বলেন “ছোট শিশু মারা যাচ্ছে। সদ্যজাত মারা যাচ্ছে। প্রসূতি মা মারা যাচ্ছে। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। হাসপাতালে বেড নেই। প্রাইভেট নার্সিংহোমে নো-এন্ট্রি বোর্ড লাগানো হয়েছে।”

রাজ্যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ। কলকাতা ও বিভিন্ন জেলায় মশা বাহিত রোগ ডেঙ্গু হু হু করে ছড়াচ্ছে। পরপর মৃত্যুর খবর আসছে সাতটি জেলাকে ডেঙ্গু এপি সেন্টার বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেঙ্গু আক্রান্ত এই জেলাগুলির মধ্যে ৬টি দক্ষিণবঙ্গের আর একটি উত্তরবঙ্গের।