লজ্জা থাকলে মমতা ব্যানার্জি হিন্দু-বিরোধী বিকেলে নামবেন না, মিছিল থেকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

আজ অযোধ্যায় রাম মন্দিরে রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান। দেশ জুড়ে রাম-ভক্তিতে উত্তেজনা তুঙ্গে। বাংলায় ও একই চিত্র। বিজেপির তরফে মিছিল করে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে রাম…

Suvendu Adhikari

আজ অযোধ্যায় রাম মন্দিরে রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান। দেশ জুড়ে রাম-ভক্তিতে উত্তেজনা তুঙ্গে। বাংলায় ও একই চিত্র। বিজেপির তরফে মিছিল করে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে রাম মন্দিরে যাওয়া হয়। মিছিলে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। মিছিল থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতার উদ্দেশ্যে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রীকে ‘হিন্দু-বিরোধী’ বলে অভিহীত করে বলেন যে, লজ্জা থাকলে মমতা ব্যানার্জি হিন্দু-বিরোধী বিকেলে নামবেন না।

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “হিন্দুস্থানের যাত্রা। হিন্দুস্থানে যারা থাকে, যারা প্যারা হিন্দুস্থান বলে, সে যে ধর্মেরই হোক, সে আজকে রামের মিছিলে থাকবে। অকাল বোধন, রাম নবমী, মা দুর্গা, এর সঙ্গে বাঙালিদের সম্পর্ক নেই। লজ্জা থাকলে মমতা ব্যানার্জি হিন্দু-বিরোধী বিকেলে নামবেন না ম্যাডাম। বাড়ি থেকে বেরোবেন না।”

   

সম্প্রতি, সাংবাদিক বৈঠক করে আজ ২২ শে জানুয়ারি সংহতি যাত্রার ডাক দেন তৃণমূল নেত্রী। হাজরা থেকে পার্ক সার্কাসের এই মিছিলে স্বয়ং থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। পার্ক সার্কাসে মিছিলের শেষে সভা করার কথা রয়েছে। 

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন হাজরা থেকে পার্কসার্কাস পর্যন্ত সংহতি মিছিল হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে সর্বধর্মের প্রতিনিধিদের নিয়ে ওই কর্মসূচি করব। মমতা তাঁর দল তৃণমূলের উদ্দেশে বলেন শুধু কলকাতা নয়, ওই দিন সব জেলায়, সব ব্লকে সংহতি মিছিল করতে হবে। তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে যে গেরুয়া শিবির বিভাজনের উদ্দেশে রাস্তায় নামতে চেষ্টা করবে। পাল্টা তৃণমূল সংহতির বার্তা নিয়ে মিছিল করবে।

তার ঘোষণা অনুযায়ী, ২২ জানুয়ারি কলকাতা ও প্রত্যেকটি জেলায় ব্লকে ব্লকে মিছিল করে সংহতির বার্তা দেওয়া হবে। আর কলকাতায় হাজরা থেকে পার্ক সার্কাস ময়দান পর্যন্ত হবে মেগা মিছিল। সেখানে উপস্থিত থাকবেন সব ধর্মের মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মিছিলের নেতৃত্বে। এর আগে মিছিল নিয়ে আপত্তি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গত বৃহস্পতিবার সেই যাত্রার শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।