ফিরহাদের পরে হাওড়া বেলগাছিয়ায় শুভেন্দু(Suvendu Adhikari)। হাওড়ায়- বেলগাছিয়ায় চরম দূর্ভোগের স্বীকার বাসিন্দারা। মিছিল আটকাতে পুলিশের ব্যারিকেড। বিরোধী দলনেতাকে হেনস্থার অভিযোগ।
বেলগাছিয়া এলাকায় সোমবার তীব্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিজেপি নেতা এবং পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক পক্ষ থেকে অভিযোগ করেছেন যে পুলিশ তাকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করেছে। এই ঘটনা ঘটে শুভেন্দু বেলগাছিয়ার মাটি ধসের পরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন। পুলিশ তাকে ওই এলাকায় প্রবেশ করতে বাধা দেয় এবং এর ফলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
এলাকার যে অংশে এই ঘটনাটি ঘটেছে, তা ছিল বেলগাছিয়া গার্বেজ ডাম্প এবং পার্শ্ববর্তী জলাশয়ের কাছে, যেখানে ১৫,০০০ মানুষের ঘরবাড়ি ধসে পড়েছিল। বেশ কিছু বাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে, যার ফলে স্থানীয়রা বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে। এই বিপর্যয়ের পরে পশ্চিমবঙ্গের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সোমবার সকালে পরিদর্শন করেন। তিনি স্থানীয়দের আশ্বস্ত করে বলেন যে, তিন দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা হবে। তিনি আরও জানান “আমরা নিজেদের তহবিল দিয়ে বাস্তুচ্যুত দের জন্য ব্যবস্থা করছি, কারণ কেন্দ্রীয় সরকার কোন সাহায্য দেয়নি।”
পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের পর, শুভেন্দু অধিকারী ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করতে বেলগাছিয়া এলাকা পরিদর্শনে যান। কিন্তু সেখানে পৌঁছাতেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশ তাকে এলাকার মধ্যে ঢুকতে বাধা দেয় এবং ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলে। এই সময় পুলিশ এবং শুভেন্দুর দলের সদস্যদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন যে এক পুলিশ কর্মকর্তা, যাঁর নাম গোলাম মুস্তার্জা, তাকে আঘাত করেন এবং তার হাতে রক্ত বেরিয়ে যায়। শুভেন্দু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমি কি ব্লেড দিয়ে হাত কেটেছি? কেন আমাকে মারলেন? সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারেন না, অথচ আমাকে আটকে রাখলেন।”
পুলিশের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে বলা হয়েছে, “স্যার, ওইদিকে কিছু নেই।” বিজেপি সমর্থকরা তৎক্ষণাৎ ‘হায় হায়’ স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলেও শুভেন্দু অধিকারী এলাকায় বসবাসরত মানুষদের সঙ্গে কথা বলতে এগোতে চেষ্টা করেন, কিন্তু পুলিশ তাকে আবারও বাধা দেয়।
বেলগাছিয়া এলাকায় ধসের ফলে বিপর্যস্ত হয়েছে ১৫,০০০ মানুষের বসবাস, এবং অনেক বাড়ি ভেঙে পড়েছে। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, তিন দিন সময় লাগবে, তবে বিকল্প ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু তিনি আরও বলেন যে, এখানে মাটির ভারসাম্য ঠিক না থাকার কারণে বাড়ি নির্মাণে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি জানান, “আজ অফিসে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, বিকল্প জায়গায় ব্যবস্থা করা হবে।”
শুভেন্দু অধিকারী পরে মন্তব্য করেন যে, “তিন দিনে কিছু হবে না,” এবং তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে আবারও পুলিশের বাধার মুখে পড়েন।