গত কয়েকদিনে পেঁয়াজের দামে (Vegetable Price) যে বড় ধরনের উত্থান লক্ষ্য করা গেছে, তা ঘরে ঘরে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যাঙ্গালুরুর ইয়েশওয়ান্তপুর কৃষিজাত পণ্য বাজারে পেঁয়াজের পাইকারি দামের ক্রমবৃদ্ধি একটি বড় ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, শীঘ্রই খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম (Vegetable Price) ১০০ টাকা প্রতি (Vegetable Price) কেজি স্পর্শ করতে পারে।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত, ব্যাঙ্গালুরুর খুচরো বাজারে ভালো মানের পেঁয়াজের দাম ৭০-৮০ টাকা প্রতি কেজি এবং নিম্নমানের পেঁয়াজ ৪০ টাকা (Vegetable Price) প্রতি কেজির আশপাশে বিক্রি হচ্ছে। তবে, নিম্নমানের পেঁয়াজের গুণগত মান যথেষ্টই নিম্ন। ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন যে, আগামী দুই সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে।
ইয়েশওয়ান্তপুর কৃষিজাত পণ্য কমিটি (APMC) প্রায় ১,০০,৪৮০ বস্তা পেঁয়াজ পেয়েছে, যার মধ্যে ৮-১০টি লরিতে করে ভালো মানের পুরনো স্টক মহারাষ্ট্র থেকে আসছে। এই উচ্চমানের পেঁয়াজের দাম ৭,২০০ থেকে ৭,৫০০ টাকা প্রতি কুইন্টাল, যেখানে নিম্নমানের স্থানীয় পেঁয়াজের দাম (Vegetable Price) ১,৫০০ থেকে ৫,৫০০ টাকা প্রতি কুইন্টাল। সম্প্রতি অক্টোবর মাসের শেষ দিকে কর্ণাটক জুড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে স্থানীয় পেঁয়াজ ফসলের একটি বড় অংশ নষ্ট হয়ে গেছে, যার ফলে এদের মজুতকাল খুবই কম। এর কারণে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজের দাম অপেক্ষাকৃত কম।
পেঁয়াজের দামের উত্থানটি একটি বৃহত্তর প্রবণতা নির্দেশ করছে, যেখানে অন্যান্য সবজির দামও ক্রমবর্ধমান। প্রতিটি সপ্তাহেই বাজারে সবজির মজুত কমছে, যার ফলে দামের ব্যাপক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। উত্তর কান্নাড়ার মতো অঞ্চলে, এই মৌসুমে সবজির ফসল উল্লেখযোগ্যভাবে কম। কিছু এলাকায় বছরে মাত্র একবারই চাষ হয়, ফলে অন্যান্য জেলা থেকে সবজি আনতে হচ্ছে, যেমন বেলগাঁও, হাভেরি, ধারওয়াড় এবং গদাগ।
ক্রমাগত বৃষ্টিপাত সবজির প্রাপ্যতাতেও প্রভাব ফেলছে। বৃষ্টির কারণে ফসল নষ্ট হওয়া এবং পচে যাওয়ার ফলে বাজারে সবজির অভাব দেখা দিয়েছে, যা দাম বাড়ানোর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উৎসবের মৌসুমে, বিশেষ করে দীপাবলির সময়, সবজির চাহিদা বেশি থাকে, কিন্তু ফলন কম থাকায় দাম বাড়ছে।
ক্রেতারা এর ফলে যথেষ্ট হতাশা প্রকাশ করছেন। সাধারণ সবজি যেমন বাদামি সবজি, যা আগের মাসে ৩০-৪০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হতো, এখন ৮০ টাকা প্রতি কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে, যা প্রায় দ্বিগুণ মূল্যবৃদ্ধি নির্দেশ করছে। এছাড়াও, লেবুর দামেও ব্যাপক বৃদ্ধি হয়েছে, যেখানে একটি লেবুর দাম বর্তমানে ৫ টাকা। এর পেছনে লেবুর উৎপাদন কম হওয়া এবং লেবু চাষিদের সংখ্যা কমে যাওয়া একটি বড় কারণ।
মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণগুলির মধ্যে রয়েছে খারাপ আবহাওয়া এবং ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ফসলের ক্ষতি। স্থানীয় উৎপাদনের পরিমাণ কমে যাওয়ায় বাইরে থেকে পণ্য আনতে হচ্ছে, যার ফলে পরিবহন খরচ বাড়ছে। এছাড়াও, খুচরো বাজারে চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সরবরাহের ঘাটতি তৈরি হওয়ায় দামের ওপর চাপ পড়ছে।
ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি
বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে, তাতে আগামী দিনগুলোতেও সবজির দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের পকেটে এর প্রভাব যথেষ্টই অনুভূত হচ্ছে। পেঁয়াজ এবং অন্যান্য সবজির মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এবং কার্যকরী পরিকল্পনার প্রয়োজন রয়েছে।