আগামী ৫ অগাস্ট বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি বাতিল। তৃ়ণমূল কংগ্রেসের এই কর্মসূচি বাতিলের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। এই নির্দেশের জেরে তীব্র রাজনৈতিক চাঞ্চল্য। গত একুশে জুলাই সমাবেশ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য জুড়ে বিজেপি নেতা কর্মীদের বাড়ি ঘেরাও করতে ডাক দিয়েছিলেন। সেই আহ্বানকে সমর্থন জানান দলটির সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই কর্মসূচি জনস্বার্থ বিরোধী। মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি। মামলা চলাকালীন অভিষেকের আইনজীবী সওয়াল করেন এই কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হবে না। প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, সেটা কে নিশ্চিত করবে?
সাধারণ মানুষের সমস্যা হয় এই ধরনের কোনও কর্মসূচি করা যাবে না এমনই নির্দেশ প্রধান বিচারপতি টিএস শিবাজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চের
২১ জুলাই সমাবেশ মঞ্চ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। এর প্রতিবাদে ৫ আগস্ট রাজ্যজুড়ে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরা করা হবে। টানা আট ঘণ্টা বাড়ি ঘেরাও চলবে। তিনি বলেছিলেন, রাজ্যের ব্লক, পঞ্চায়েত, পুরসভা, বিধানসভা যেখানে যে বিজেপি নেতা আছে তাদের বাড়ি ঘেরাও করা হবে। শান্তিপূর্ণভাবে ঘেরাও করবেন। সকাল ১০ টা থেকে সন্ধে ৬ টা, ঘেরাও করে রাখুন। বিজেপি নেতাদের আটকে রাখুন। সেই বিজেপি নেতা যেন বাড়ি থেকে বেরোতে বা ঢুকতেও না পারে। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপের প্রতি ব্লক, বুথে গণঘেরাও হবে। তাঁর এই আহ্বানে রাজনৈতিক মহল সরগরম হয়ে যায়
সেদিনের সমাবেশ থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, অভিষেক যে ঘোষণা করেছে, তাতে আমি বলব জেলায় জেলায় না করে ব্লক লেভেলে করুন। আর বাড়ির ১০০ মিটার দূরে। এই ঘেরাও ব্লক হিসাবে করতে। বুথ হিসাবে নয়। যাতে বাড়ির লোকের বের হতে অসুবিধা না হয়। যাতে কেউ বলতে না পারে তাঁদের অবরুদ্ধ করা হয়েছে।