CPIM: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মমতার মনোনীত যশবন্তকে সমর্থন, বোঝাতে হিমশিম খাচ্ছেন সীতারাম

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে কেন সমর্থন (CPIM) সিপিআইএমের ? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে সিপিআইএম রাজ্য নেতারা কেন্দ্রীয় নেতাদের দেখিয়ে দিচ্ছেন। বিতর্ক আরও…

Sitaram Yechury with mamata

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে কেন সমর্থন (CPIM) সিপিআইএমের ? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে সিপিআইএম রাজ্য নেতারা কেন্দ্রীয় নেতাদের দেখিয়ে দিচ্ছেন। বিতর্ক আরও খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে যশবন্ত সিনহার থেকে এনডিএ জোটের দ্রৌপদী মুর্মুর প্রতি সহানুভুতির দেখিয়েছেন। পরে তিনি বিতর্ক ঢাকতে বিরোধী জোটের প্রতি বার্তা দেন। এতসবের মাঝে বাম সমর্থকদের প্রশ্নে জর্জরিত সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।

জ্যোতি বসুর ১০৯ তম জন্মদিন উপলক্ষে কলকাতায় এসে দলীয় সমর্থকদের মন পেতে চেষ্টা করেন সীতারাম ইয়েচুরি। তিনি জ্যোতি বসুর কথা উল্লেখ করে বলেন, উনি দেখিয়ে দিয়ে গিয়েছেন কীভাবে সময়ের সঙ্গে বাস্তবতাকে মাথায় রেখে সামনে চলার পথ তৈরি করে নিতে হয়। পার্টি কংগ্রেসে গৃহীত লাইন অনুযায়ী আমাদের কাজ হল দেশের সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো৷ কারও অতীত তুলে এনে আজকের বাস্তবতাকে অস্বীকার করা যায় না।

এতেও চিঁড়ে ভেজেনি। সীতারাম ইয়েচুরির যুক্তিতে বেজায় আপত্তি রয়েছে সিপিআইএম নীচুতলার কর্মীদের৷ কারণ, এ রাজ্যের বাম কর্মীদের বারবার বলতে শোনা গেছে “যাহা নবান্ন, তাহাই ৫৬”। এই তত্ত্বের ওপর ভর করে যশবন্ত সিনহা সহ ঘন ঘন দলবদলু একাধিক নেতারা ছিল একেবারে আদর্শ উদাহরণ। ফলে বাম কর্মীরা নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাজিত করতে রাজ্যভিত্তিক বোঝাপড়া হতে পারে। সর্বভারতীয় পর্যায়ে হওয়া কঠিন। এর উদাহরণ হিসাবে জাতীয় রাজনীতিতে দলের একাধিক পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তিনি৷ এমনকি ভিপি সিংয়ের সরকারের সঙ্গে জোট শুধুমাত্র কংগ্রেসের মুখের ওপর জবাব দিতেই তৈরি হয়েছিল৷ এই উদাহরণ টেনে অানেন।

সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যশবন্ত সিনহাকে সমর্থন করা নিয়ে সীতারাম ইয়েচুরি একাধিক যুক্তি তুলে ধরলেও পশ্চিমবঙ্গের নেতাদের আপত্তি আছে সেই বার্তা পেয়েছেন সীতারাম ইয়েচুরি। এর আগে রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে বলতে শোনা গেছে, আরও ভালো প্রার্থী হতে পারত৷

এর আগে কলকাতা ২৪x৭ কে সিপিআইএমএল (CPIML) সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, আরও সময় পেলে, আরও আগে থেকে আলোচনা করলে, আরও ভালো প্রার্থী পাওয়া যেত। বিরোধী শিবিরের এই ফাটল সময়ের সঙ্গে আরও স্পষ্ট হয়েছে, যখন দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থনের জন্য এগিয়ে এসেছে শিরোমণি আকালি দল, বিজু জনতা দল এমনকি ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার মত দলগুলি।