‘পুরনো বন্ধু’ তৃণমূলকে ততটা নয় বরং সিপিআইএম-কেই আক্রমণের মূল নিশানা করল এসইউসিআই। দলটির ব্রিগেড সমাবেশ থেকে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রভাস ঘোষ বারে অন্যান্য বাম দল (সিপিআই, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক) কেও নিশানা করেছেন। তাৎপর্যপূর্ণ ততটা আক্রমণ করেননি শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে। যদিও এসইউসিআই রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব। বেশ কয়েকবার বামদলগুলির যৌথ মিছিলে তাদের দেখা গিয়েছিল।
ব্রিগেড সমাবেশ থেকে প্রভাস ঘোষ বলেছেন, ‘সিপিএম, সিপিআই এর ভূমিকা সম্পূর্ণ মার্কস বাদ বিরোধী। বন্ধু সেজে শত্রু শিবিরে ঠেলে দেয়। এরা আপন করতে জানেনা। এই পার্টির গোড়ায় গলদ। এদের নেতারা জ্ঞান, সৎ, পান্ডিত্য থাকা সত্ত্বেও মার্কাসবাদের মধ্যে নেই।’
ব্রিগেড সমাবেশ থেকে প্রভাস ঘোষ বলেছেন “আমরা বিবেক বিক্রি করিনি। আমাকে কেনা যায়নি। না খেয়ে দিনের পর দিন থেকেছি।” ভাষণে এসইউসি সাধারণ সম্পাদক বারবার অন্যান্য বাম দলগুলিকে নিশানা করলেও রাজ্য সরকারে থাকা তৃণমূল কংগ্রেস সম্পর্কে ততটা আক্রমণাত্মক হলেন না।
বারবার সিপিআইএমকে নিশানা আর তৃণমূল সম্পর্কে ‘নরম’ কেন এসইউসিআই? এই বিতর্কে উঠে আসছে তৃণমূলের সাথে এসইউসি জোটের পুরনো প্রসঙ্গ। এই জোট করেই ২০০৯ সালে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ পেয়েছিল এসইউসি। পরে সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনে প্রথম নামে দলটির ছাত্র যুব সংগঠন। পরে তাদের মদত নেয় তৃণমূল কংগ্রেস।
শনিবার SUCI দলের ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বেশ চর্চা চলেছে। কারণ এই দলটি গত যুক্তফ্রন্ট সরকারের শরিক ছিল। পরে টানা সাড়ে তিন দশকের বামফ্রন্ট জমামায় লাগাতার সরকার বিরোধী আন্দোলন করে নিজেদের দুটি বিধানসভা আসন ধরে রেখেছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি ও জয়নগর দুটি কেন্দ্র ছিল এসইউসিআইয়ের ঘাঁটি। এর বাইরে আর না বাড়লেও দেশজুড়ে সংগঠন আছে। রাজ্যে রাজনৈতিক মহলে এসইউসিআই ‘কুলতলি জয়নগরের পার্টি’ বলেও একসময় কটাক্ষের শিকার হতো। বাম জমানায় ১৯৮৮ সালে প্রথম ব্রিগেড মিটিং। আর ২০২৩ সালে হলো দ্বিতীয় ব্রিগেড।