কথা ছিল তাঁরা আসবেন কিন্তু আসতে পারেননি তাই বার্তা পাঠালেন নীতিশকুমার এবং পিনারাই বিজয়ন৷ বুধবার জ্যোতি বসুর ১৫তম প্রয়াণ দিবসে নিউটাউন জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোসাল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চের ভিস্তি প্রস্তর স্থাপন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে আসার কথা ছিল দুই মুখ্যমন্ত্রীর ৷ এদিনের অনুষ্ঠানে তাঁরা দুজনে আসতে না পারলেও নিউ টাউনে জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোসাল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চের সাফল্য কামনা করে এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন কেরালা এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের অনুষ্ঠানে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা পড়ে শোনান জ্যোতি বসু রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং নীতিশ কুমারের বার্তা পড়ে শোনান সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
কেরলে প্রধানমন্ত্রী থাকার কারণে আসতে পারেননি বিজয়ন। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন তাঁর বার্তায় প্রয়াত জ্যোতি বসুর রাজনৈতিক জীবনের কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী নিহত হওয়ার পর এবং বাবড়ি মসজিদ ভাঙার পর বাংলায় সাম্প্রদায়িক হিংসার কোন ঘটনা ঘটতে না দেওয়ার ক্ষেত্রে জ্যোতি বসুর ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
নীতিশ কুমার তার বার্তায় জানিয়েছেন, পটনায় একটি অনুষ্ঠান থাকার কারণে জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোসাল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চের উদ্যোগে ‘দেশের ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র রক্ষার চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ে আলোচনাসভায় উপস্থিত থাকতে পারলেন না ৷ তিনি উপস্থিত না থাকতে পারার জন্য আক্ষেপও করেন৷ তাছাড়া বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে জ্যোতি বসু গ্রামের উন্নতি এবং গরীব প্রান্তিক মানুষের উন্নতির জন্য যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থা করেছেন তা গোটা দেশের কাছে নজির এবং জ্যোতি বসু তাঁদের কাছে আদর্শ বলে তিনি জানান৷
এই দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা ছাড়াও বার্তা পাঠিয়েছেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দোপাধ্যায়, অর্থনীতিবিদ অমিয় বাগচী, প্রভাত পট্টনায়ক, বিশিষ্ট সাংবাদিক পি সাইনাথ প্রমুখ।