Netai Mass Killing: নেতাই গণহত্যার CBI তদন্তের গতি নিয়েই প্রশ্ন হাইকোর্টে

News Desk: নেতাই (Netai mass killing) গুলি চালানো ঘটনায় CBI তদন্তের রিপোর্ট তলব করল হাই কোর্ট। আগামী ১৪,ফেব্রুয়ারির মধ্যেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান…

Netai killing

News Desk: নেতাই (Netai mass killing) গুলি চালানো ঘটনায় CBI তদন্তের রিপোর্ট তলব করল হাই কোর্ট। আগামী ১৪,ফেব্রুয়ারির মধ্যেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

রাজ্যে বাম জমানায় মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সময় পশ্চিম মেদিনীপুর জুড়ে আইন শৃঙ্খলা একেবারেই প্রশাসনের হাতের বাইরে চলে গিয়েছিল। জঙ্গলমহলে মাওবাদী হামলায় বহু বাম কর্মী সমর্থক ও সাধারণ মানুষের মৃত্যু যেমন হয়, তেমনই সিপিআইএমের বিরুদ্ধে উঠেছে নেতাই গণহত্যার মতো অভিযোগ।

   

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি পশ্চিম মেদিনীপুরের লালগড় ব্লকের নেতাই গ্রামে গুলিতে ৯ জনের মৃত্যু হয়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় জঙ্গলমহলের দাপুটে সিপিআইএম নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষের নাম জড়ায়। তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রথম থেকেই।

নেতাই গ্রামে মাওবাদীদের আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন এলাকাবাসী এমনই পাল্টা দাবি উঠতে থাকে। সবমিলে নেতাই গণহত্যা তীব্র বিতর্কিত। রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার তৈরি হলে নেতাই গণহত্যার বিচার হবে বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সরকারের আমলে নেতাই তদন্ত কতদূর তা নিয়েই প্রশ্ন তুলল আদালত।

গণহত্যার অভিযোগে হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সিবিআই তদন্ত ও মৃত এবং আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবিতে মামলা হয়। রাজ্য ক্ষতিপূরণ দেয়। হাইকোর্টের নজরদারিতে সেই মামলা এখনও চলছে। চার্জসিট জমা পড়লেও এখনও অভিযুক্তরা সাজা পায়নি। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআইকে তদন্ত ও বিচারের অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্ট তলব করেন।