Kunal Ghosh: নরেন্দ্র মোদী থেকে দিলীপ ঘোষেরা চুমু খাবে গরুকে! কুণালের বক্তব্য ঘিরে চাঞ্চল্য

নরেন্দ্র মোদী থেকে দিলীপ ঘোষ, এরা সবাই গরুকে চুমু খেতে যাবেন। কেন্দ্রের কাউ হাগ ডে নিয়ে কটাক্ষ তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh)৷

kuntal ghosh

কেন্দ্রে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরেও গরুর প্রতি সহমর্মিতায় জুরি মেলা ভার৷ সেই গরুর প্রতি ভালোবাসা দেখাতে ১৪ ফেব্রুয়ারি কাউ হাগ ডে ঘোষণা করল মোদী সরকারের প্রাণী উন্নয়ন মন্ত্রক। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। নরেন্দ্র মোদী থেকে দিলীপ ঘোষ, এরা সবাই গরুকে চুমু খেতে যাবেন। কেন্দ্রের কাউ হাগ ডে নিয়ে কটাক্ষ তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh)৷

তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, পশু প্রেম দিবস আলাদা আছে। পশু প্রেম দিবস খারাপ কিছু নয়। কিন্তু পশুপ্রেম বলতেই যাদের গরুকে আলিঙ্গন করার কথা বলছে, তারা বদ্ধ উন্মাদ ছাড়া আর কিছু নয়। এই জিনিস হতে পারে না৷ বিজেপির পরিষদীয় দলের অসুবিধা হবে না। ওরা শুভেন্দুকে করে নেবে৷ কিন্তু এর বাইরে গরুকে আলিঙ্গন করতে হবে। আমরা আশা করি এরকম ছবি দেখতে পাবো নরেন্দ্র মোদী থেকে দিলীপ ঘোষ, এরা সবাই গরুকে চুমু খাচ্ছেন। আমরা দেখতে পাবো দিলীপ ঘোষ এগিয়ে যাচ্ছে। গরু হাম্বা করে ডাকছে। ভুল করে ষাঁড়ের দিকে চলে যাবেন না। ওটা শুভেন্দুর দিকে রাখুন।

   

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় পশু কল্যাণ দফতরের তরফে সম্প্রতি জানানো হয়েছে, পশ্চিমের চাপে বৈদিক সংস্কৃতি মুছে যেতে বসেছি আমরা। সেই কারণেই অভিনব আবেদন করা হয়েছে। পশু কল্যাণ বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, গরুর অনেক উপকারিতা রয়েছে। তাঁদের আবেদন, যারা গরুকে ভালবাসে তারা যেন ১৪ ফেব্রুয়ারি গবাদি পশুকে আলিঙ্গন করেন। তাতে জীবন আরও সুখের হয়ে উঠবে। এভাবেই ‘গরু আলিঙ্গন দিবস’ তথা ‘কাউ হাগ ডে’ পালনের পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় বোর্ড ।

শুরু থেকে গরু নিয়ে বেশী ভাবাবেগ দেখিয়েছে বিজেপি। এমনকি গোমাংস খাওয়ার ওপরেও কড়াকড়ি করেছে। কিন্তু ১৪ ফেব্রুয়ারিতেই কেন? আবার পশুপ্রেম দেখাতে গিয়ে গরুকেই কেন বেছে নেওয়া হল? এই প্রশ্নও বারবার মাথাচাড়া দিচ্ছে।