অভিষেকের দাবিতেই ‘শিলমোহর’ দিল কেন্দ্র

ঘুরপথে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) দাবিতেই শিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় সরকার। একশো দিনের কাজে বরাদ্দের অর্থ যে শূন্য, সেটা এবার কাগজে কলমে প্রকাশ পেল। ১০০ দিনের…

Abhishek Banerjee

ঘুরপথে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) দাবিতেই শিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় সরকার। একশো দিনের কাজে বরাদ্দের অর্থ যে শূন্য, সেটা এবার কাগজে কলমে প্রকাশ পেল। ১০০ দিনের কাজে বাংলাকে গত তিন অর্থবর্ষে একটি নয়া পয়সাও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছিলেন ঘাসফুলের নেতারা। এইবার সেই সত্য ফাঁস হতেই বাংলার যে বকেয়া আছে সেটা প্রমাণ হয়ে গেল। রবিবার রাজ্যসভার নথি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’‌ব্রায়েন।

জামিন পেয়েও মিলল না স্বস্তি! তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে তলব ইডির

   

কেন্দ্রের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছেন, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে রাজ্যকে ১০০ দিনের কাজ বাবদ কেন্দ্রের তরফে দেওয়া অর্থের পরিমাণ শূন্য। অর্থাৎ কোনও টাকাই বরাদ্দ করা হয়নি। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন এক্স হ্যান্ডেলে রাজ্যসভায় সরকারের দেওয়া একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১০০ দিনের কাজ বাবদ বাংলাকে দেওয়া হয়েছে মাত্র ১৬১৮ কোটি টাকা। আর ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সেই বরাদ্দের অঙ্কটা পুরোপুরি শূন্য। ডেরেকের দাবি, কেন্দ্র যে বাংলাকে বঞ্চনা করছে, এই পরিসংখ্যান তারই স্বীকারোক্তি।

Gold Silver Price: ছুটির দিনে কি কমল সোনার দাম? জানুন কলকাতার রেট

কেন্দ্র অবশ্য বরাবর দাবি করে আসছে, বাংলার টাকা আটকে রয়েছে দুর্নীতির জন্য। দিন চারেক আগেই সংসদে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান দাবি করেন, ‘বাংলায় ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বিস্তর বেনিয়ম হয়েছে। এই তহবিলের টাকা অন্য খাতে খরচ করা হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে, আর সরকার অভিযুক্তদের আড়াল করেছে। প্রকল্পের নাম বদলে দেওয়াও হয়েছে। এই সবই হয়েছে বাংলায়।’

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা! ইরান-ইজরায়েল সংঘাতে বিরাট নৌবহর মোতায়েন আমেরিকার

ডেরেক ও ব্রায়েন এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘তৃণমূল এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই সংক্রান্ত শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন। এর ফলে প্রমাণ করা যাবে যে, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকে বাংলাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এখানে সেই বঞ্চনার প্রমাণ রয়েছে।’ অনেক রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য যে আসলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবিই সত্যি বলে প্রমাণিত হল। অনেক রাজনইতিক মহলের মতে এতে কেন্দ্রীয় সরকারের মুখ পুড়ল।