আন্দোলনরত পড়ুয়াদের ছয় দফা দাবি! না মানলে চলবে কর্মবিরতি

আরজিকর কাণ্ড (RG Kar medical college) নিয়ে রাজ্যে একের পর এক হাসপাতালে চলছে কর্মবিরতি। শুধু তাই নয়, রোগী পরিষেবা নিয়ে সরব হয়েছেন রোগীর আত্মীয়পরিজন। ইতিমধ্যেই…

rg kar medical college

আরজিকর কাণ্ড (RG Kar medical college) নিয়ে রাজ্যে একের পর এক হাসপাতালে চলছে কর্মবিরতি। শুধু তাই নয়, রোগী পরিষেবা নিয়ে সরব হয়েছেন রোগীর আত্মীয়পরিজন। ইতিমধ্যেই সোমবার থেকে আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় আজ দেশজুড়ে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে চিকিৎসক মহল। শুধু কলকাতাতেই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই আজ সকাল থেকে প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন চিকিৎসকরা। দিল্লির এইমস-র চিকিৎসকরাও বিক্ষোভে পথে নেমেছেন। তাদের দাবি, সিবিআই তদন্ত করতে হবে আরজি কর কাণ্ডে।

ইতিমধ্যে নির্যাতিতা বাড়িতে গিয়ে নির্যাতিতার বাবা মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। সোমবার দুপুরে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানেই জানান, তাঁদের ছয় দফা দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন চলবে। যুবতী চিকিৎসক খুনের ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। দোষীদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। সিসিটিভি ফুটেজ এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট-সহ তদন্ত সংক্রান্ত যাবতীয় নথি আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিকে দেখাতে হবে।

   

আর জি কর হাসপাতাল কাণ্ডে আরও তিন চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদ কলকাতা পুলিশের

তাঁদের দাবি, উচ্চ পদস্থ আধিকারিককে (অধ্যক্ষ, এমএসভিপি, ডিন অফ স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার, রেসপিরেটরি মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান) লিখিত ভাবে পদত্যাগ বা অপসারণ করতে হবে। তাঁদের লিখিত ভাবে ক্ষমাও চাইতে হবে। ভবিষ্যতে আর কখনও যাতে কোনও প্রাতিষ্ঠানিক পদে তাঁদের দায়িত্ব না দেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিহত চিকিৎসকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

রোদ-মেঘের খেলাতেই সপ্তাহভর চলবে বৃষ্টি

রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ২৪ ঘণ্টা সিসি ক্যামেরার নজরদারির বন্দোবস্ত করতে হবে। মহিলা এবং পুরুষ নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা করতে হবে। হাসপাতাল চত্বরে পুলিশ পিকেটিং এবং পুলিশের টহলদারির ব্যবস্থা করতে হবে। কর্তব্যরত চিকিৎসকদের জন্য উপযুক্ত ঘরের বন্দোবস্ত করতে হবে, যাতে কাউকে আর সেমিনার হলে বিশ্রাম নিতে না হয়। আন্দোলনরত ডাক্তারি পড়ুয়া এবং জুনিয়র চিকিৎসকদের উপর অত্যাচারের জন্য কলকাতা পুলিশকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

তাঁদের আরও দাবি, সমাজমাধ্যমে যে মানহানি করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে পদক্ষেপ করতে হবে। অন্যদিকে আর জি কর কাণ্ডের কিনারা করার জন্য কলকাতা পুলিশকে আগামী রবিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রবিবারের মধ্যে পুলিশ এই তদন্তের কিনারা করতে না পারলে তদন্ত ভার সিবিআই-কে দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এ দিন সোদপুরে নিহত চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে মৃতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর এই সিদ্ধান্তে কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷