ডাক্তারদের রাজভবন অভিযানে ব্যারিকেডে বাধা পুলিশের

আরজি করে কাণ্ডে (RG Kar case) রাজ্যের ভূমিকা ও দ্রুত তদন্তের দাবিতে শনিবার রাজ্যপালকে ডেপুটেশন দেবে ডাক্তারদের সংগঠন মেডিক্যাল সার্ভিস ফোরাম। এদিন দুপুর দুটোয় শিয়ালদহের…

Medical service forum Rajbhavan rally on demand of justice for rg kar

আরজি করে কাণ্ডে (RG Kar case) রাজ্যের ভূমিকা ও দ্রুত তদন্তের দাবিতে শনিবার রাজ্যপালকে ডেপুটেশন দেবে ডাক্তারদের সংগঠন মেডিক্যাল সার্ভিস ফোরাম। এদিন দুপুর দুটোয় শিয়ালদহের এনআরএস থেকে মিছিল করে রাজভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ডাক্তারেরা। সেই মিছিলে ডাক্তারদের সঙ্গে পা মেলান হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী ও নার্সেরা। ওই মিছিলে নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে সোচ্চার হতে দেখা যায় সত্তরোর্ধ্ব ডাক্তারদেরকেও। 

সৌজন্যেই ‘প্রতিবাদ’, টালা থানার ‘(অ)সুস্থ ওসিকে’ দেখতে এবার অভিনব মিছিল

   

এদিকে মিছিলটি এসএন ব্যানার্জি রোড হয়ে ধর্মতলার দিকে যেতে রানী রাসমনি অ্যাভিনিউয়ের কাছে মিছিলটিকে আটকায় পুলিশ। চিরাচরিত ভাবে ব্যারিকেড দিয়ে অবরুদ্ধ করা হয় রাস্তা। বাধা পেয়ে সেখানেই থমকে যায় মিছিল। পরে ঠিক হয় ডাক্তার ও নার্সদের পাঁচজনের প্রতিনিধি দল রাজভবনে গিয়ে ডেপুটেশন দিতে পারবেন রাজ্যপালকে।

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পুজোয় সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যান শ্রীরামপুরের

ডাক্তারদের দাবি, ঘটনার পর প্রায় একমাস হতে চলল কেন একজনের বেশি বাকি অপরাধীদের ধরা গেল না? তা নিয়েই রাজ্যপালকে ডেপুটেশন দেবেন ডাক্তাররা। সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের সিপি বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে লালবাজার অভিযান করেছিল জুনিয়ার ডাক্তাররা। রাত-ভোর টানা ২৪ ঘন্টার মতো ধর্ণার পর সিপির সঙ্গে সাক্ষাত করে তাঁর পদত্যাগের দাবিপত্র তুলে দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশ সুপার গোটা ঘটনায় পুলিশের ব্যার্থতা মেনে নিলে অবস্থান জমায়েত থেকে সরে আসেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাজ্যে রমরমিয়ে চলছে পোষ্য বিক্রি, উদ্বিগ্ন হাইকোর্ট

এদিকে গত মঙ্গলবারই বিধানসভায় ধর্ষণবিরোধী অপরাজিতা বিল পাশ করেছে রাজ্য। সেই বিলে সমর্থন জানিয়েছে বিজেপিও। গতকাল শুক্রবার বিলটি রাজ্যপালের স্বাক্ষরের জন্য রাজভবনে পাঠিয়েছিল রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু সেই বিলের টেকনিক্যাল রিপোর্ট রাজ্য পাঠায়নি বলে অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু গতকালই রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ টেকনিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে রাজভবনে যান। তারপরই সেই মুখ্যসচিবের সঙ্গে আলোচনা করেই বিলটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেন রাজ্যপাল।