Minakshi Mhukherjee: ‘কাজলা দিদির ব্রিগেড’ দেখতে নন্দীগ্রাম-সুন্দরবনবাসীর ঢল

CPIM যুব সংগঠন DYFI এর ডাকা ইনসাফ জনসভা কি দলীয় সংগঠন ছেড়ে মুখ নির্ভর? এমনই প্রশ্ন উঠছে। কারণ, CPIM বারবার দাবি করে তাদের মুখ নয়…

CPIM যুব সংগঠন DYFI এর ডাকা ইনসাফ জনসভা কি দলীয় সংগঠন ছেড়ে মুখ নির্ভর? এমনই প্রশ্ন উঠছে। কারণ, CPIM বারবার দাবি করে তাদের মুখ নয় সংগঠনই আসল। তবে বাম সমর্থকরা বলছেন আজ নেত্রী মীনাক্ষীর দিন! ঠারেঠোরে সিপিআইএম রাজ্য নেতৃত্ব স্বীকার করেছেন মীনাক্ষীই (Minakshi Mhukherjee) মুখ। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর স্বীকারোক্তি, ‘ক্যাপ্টেন মীনাক্ষী’।

যেখান থেকে মীনাক্ষীর রাজনৈতিক উত্থান সেই পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামবাসীর বাম সমর্থকরা বলছেন ও তো কাজলা দিদির জনসভা। এভাবেই নন্দীগ্রাম পরিচিত মীনাক্ষী। গত বিধানসভা ভোটে সংযুক্ত মোর্চার হয়ে CPIM প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রাম মীনাক্ষী ও মমতা পরাজিত হন। জয়ী শুভেন্দু। আর বিধানসভা শূন্য হয়ে যায় টানা সাড়ে তিন দশকের বাংলার শাসক সিপিআইএম। বাম জমানায় নন্দীগ্রামে গুলি চালানো ও গণহত্যার বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছিল। সেই ধাক্কায় রাজ্য থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে যায় বামফ্রন্ট। সেই নন্দীগ্রামেই মীনাক্ষী হয়ে গেছিলেন ‘কাজলা দিদি’।

নন্দীগ্রাম ইস্যু বামফ্রন্টের পতন ঘটানোর অন্যতম রাজনৈতিক মোড়। তেমনই নন্দীগ্রাম থেকেই মীনাক্ষীর উত্থান। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস মনে করে, মীনাক্ষী মুখার্জি বাম শিবিরের এমন নেত্রী যার মধ্যে লড়াকু মমতার ছাপ আছে। বিরোধী দল বিজেপিও মীনাক্ষীর জনপ্রিয়তা মেনে নিয়েছে।

উল্লেখ্য টানা ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ২০১১ সাল থেকে রাজ্যে বাম সরকার নেই এক যুগের বেশি। এমনকী গত ২০২১ বিধানসভা ভোটেস্ট একজনও বাম প্রার্থী জয়ী হননি। টানা তিনবার সরকার তৃণমূল ধরে রেখেছে। আর বিরোধী দল হয়েছে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গ থেকে একমাত্র রাজ্যসভার বাম সাংসদ আছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। এই পরিস্থিতিতে CPIM যুব সংগঠন DYFI সমাবেশে ‘জন্য সুনামি’ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, ক্ষমতা হারালেও সংগঠনে মোচড় দিয়েছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তাঁর বিশেষ পরিকল্পনায় দলীয় ছাত্র যুব সংগঠন সক্রিয়। ব্রিগেড সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন সেলিম।

তবে ব্রিগেড সমাবেশে মীনাক্ষী মুখার্জি কী ভাষণ দেবেন তা নিয়ে প্রবল চর্চা। মীনাক্ষী আগেই বলেছেন, তৃণমূল ও বিজেপির সেটিংয়ে রাজ্যের যুব-ছাত্রদের ভবিষ্যত লাটে উঠেছে। রাজ্য জুড়ে যে ইনসাফ যাত্রা চলেছিল তাতে জনতার ঢল নেমেছিল। সেই শক্তি নিয়ে ব্রিগেডের সমাবেশ হবে।