মমতার আদরের ‘জল’শোভনই আবার ফিরছেন কলকাতার মেয়র হয়ে ?

কলকাতার তৃণমূল শিবিরের কেউ কেউ তাঁকে (Sovan Chatterjee) বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রেমিক বলেও খোঁচা দিয়েছিলেন। প্রেমের জন্যই নাকি তিনি (Sovan Chatterjee) কলকাতার মেয়রের পদ ছেড়েছেন। শাসকদলের…

কলকাতার তৃণমূল শিবিরের কেউ কেউ তাঁকে (Sovan Chatterjee) বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রেমিক বলেও খোঁচা দিয়েছিলেন। প্রেমের জন্যই নাকি তিনি (Sovan Chatterjee) কলকাতার মেয়রের পদ ছেড়েছেন। শাসকদলের হেভিয়েট নেতা হওয়া সত্ত্বেও সমস্ত কিছু ছেড়ে দিয়ে আপাতত রাজনৈতিকভাবে অপ্রাসঙ্গিক জীবন যাপন করছেন। যদিও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে খবরের শিরোনামে তিনি এসেছেন বারবার। কিন্তু এবার সেই ‘জল’শোভনই (Sovan Chatterjee) কি রাজনীতিতে একটা দুর্দান্ত কাম ব্যাক করতে চলেছেন?

ইতিমধ্যেই কানাঘুষো শুরু হয়ে গিয়েছে, তৃণমূলের ২ হেভি ওয়েট কুনাল ঘোষ এবং অরূপ বিশ্বাস শোভন চট্টোপাধ্যায়ের (Sovan Chatterjee) বাড়িতে গিয়ে তার সাথে দেখা করেছেন। যদিও এর আগে শোভনের বা তাঁর বান্ধবী বৈশাখীর জন্মদিনের পার্টিতে কুনাল ঘোষ নিজে উপস্থিত ছিলেন। কুনাল-শোভনের অটুট সখ্যতা নিয়ে রাজনৈতিক নেতারাও সবাই মোটামুটি কম বেশি জানেন।

   

কিন্তু এবার যেটা শোনা যাচ্ছে, খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই শোভনের বাড়িতে এই দুই হেভি ওয়েট নেতার পদার্পণ ঘটেছে। দিদির দূত হয়ে কী বার্তা নিয়ে গিয়েছেন তাঁরা? জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক সমীকরণের অঙ্ক কষাও ।

মমতার মেয়ের তাক লাগানো কীর্তি, তুচ্ছ রোদ-জল-ঝড়

মাঝে পদ্মে যোগ দেওয়ার বিষয় থাকলেও, শোভন চট্টোপাধ্যায় যেন এতদিন ধরে রাজনীতিতে নো ম্যানস ল্যান্ডেই ছিলেন । কিন্তু সাম্প্রতিক কলকাতার রাজনীতির বেশ কিছু উত্থান পতন যেন একটা নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে। মমতার আদরের জল শোভনকে আবারও কী কলকাতার মেয়রের পদেই দেখতে চাইছেন মমতা? কারণ সূত্র অনুযায়ী সাম্প্রতিক সময়ে নবান্নের সভাঘরে মমতার তীর্যক মন্তব্য,’ ববি, দেবাশীষ কে দিয়ে হচ্ছে না ওরা ঠিক পারছে না’। তাহলে কী আবারও সেই পুরনো ভরসার খেলোয়াড়কেই ক্যাপ্টেন্সি দিতে চাইছেন মমতা?

আর সেই কারণেই তড়িঘড়ি শোভনের কাছে দূত পাঠানো? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতো সম্ভাবনা কিন্তু একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।সাম্প্রতিক সময়ে লোকসভা ভোটে কলকাতায় তৃণমূলের গড়ে ফাটল ধরেছে এটা অস্বীকার করা যাচ্ছে না। একাধিক ওয়ার্ডে বেশ ভালো মার্জিনেই পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনের আগে আগেই গার্ডেনরিচের ফ্ল্যাট কাণ্ডে, অবৈধ নির্মাণের ভুরি ভুরি অভিযোগ সামনে এসেছে। তারপর পরবর্তীকালে হকার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় এবং ফুটপাত দখলদারি নিয়ে প্রবলভাবে সরব হয়েছেন মমতা।

সল্টলেক, কলকাতা থেকে শুরু করে একাধিক কর্পোরেশনের কাজকর্মে তিনি যে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। ফলে কলকাতা সামলাবার জন্য পুরনো অভিজ্ঞ মেয়রকেই চাওয়ার অঙ্কটা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। অন্তত শোভনের সময়ে এত ভুরি ভুরি অভিযোগ ওঠেনি বলেই অনেকে মনে করছেন। অপরদিকে কলকাতার মেয়র একদিকে রাজ্যের পুর এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রীও, ফলে অনেকের মতে দুই অতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলাতে হয়ত কিছুটা হলেও তাঁকে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। আর সেই কারণে কী তাহলে মেয়রের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়েছে?

কলকাতায় খেলা চরমে! জগন্নাথ মন্দিরকে বলে বলে চ্যালেঞ্জ তিরুপতি মন্দিরের

অন্তত কুনাল অরূপ এবং শোভনের এই সাক্ষাতের পরে সেই সম্ভাবনার পালে  কিছুটা হলেও হাওয়া পাওয়া যাচ্ছে। অনেকেই বলছেন আগামী একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের শোভা পাওয়াটাও খুব একটা অস্বাভাবিক নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে মেয়র বদলের সম্ভাবনা যে আরও জোরদার হবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।