১৫ ডিসেম্বর দিঘা সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিদর্শন করবেন জগন্নাথ মন্দিরের কাজ

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ১৫ ডিসেম্বর (december) দিঘা (Digha) যাবেন (visit) জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) নির্মাণ (construction) কাজ পরিদর্শন করতে। ২০১৯ সালে দিঘা সফরে…

Mamata Banerjee visit Digha

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ১৫ ডিসেম্বর (december) দিঘা (Digha) যাবেন (visit) জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) নির্মাণ (construction) কাজ পরিদর্শন করতে। ২০১৯ সালে দিঘা সফরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, পুরীর আদলে ওল্ড দিঘার জগন্নাথ ঘাটে একটি জগন্নাথ মন্দির নির্মিত হবে। সেই অনুযায়ী, হিডকো সংস্থা দিয়ে মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়। তবে বনদপ্তরের সঙ্গে জায়গা নিয়ে সমস্যা তৈরি হলে, মন্দিরের কাজ সেখানে থমকে যায়। পরে মন্দিরের স্থান পরিবর্তন করে নিউ দিঘা অঞ্চলের দিঘা লারিকা হলিডে ইনের পাশে ২২ একর জমিতে নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

এই প্রকল্পটির জন্য প্রায় ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে মন্দিরের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। মন্দিরের কাজ শেষ না হওয়ায়, গত বছর একাধিকবার শোনা যায় যে, ২০২৪ সালের এপ্রিলে মন্দির উদ্বোধন হতে পারে, কিন্তু বর্তমানে কাজের অবস্থা দেখে তা সম্ভব নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সম্প্রতি বিধানসভায় রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরিকে দেখা মাত্রই মন্দিরের কাজের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন করেন। বিধায়ক অখিল গিরি জানান, মন্দিরের কাজ দ্রুত এগোচ্ছে এবং মুখ্যমন্ত্রী তাকে আশ্বস্ত করেন যে, খুব শীঘ্রই তিনি দিঘা (Digha) যাবেন মন্দিরের কাজ পরিদর্শন করতে। যদিও তখন দিন ঘোষণা করেননি তিনি।

   

তবে সূত্রের খবর, ১৫ ডিসেম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দিঘা (Digha) সফর করবেন এবং মন্দিরের কাজের অগ্রগতি নিজে গিয়ে দেখবেন। মন্দিরের কাজের সম্পন্নতার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবেন তিনি। ২০২4 সালের মধ্যে মন্দিরের কাজ শেষ করার লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মন্দিরের নির্মাণ কাজ যাতে দ্রুত শেষ হয়, সেজন্য সবরকমের সহযোগিতা ও তদারকি করা হচ্ছে।

রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) নির্মাণের পর স্থানীয় সংস্কৃতির বিকাশ এবং পর্যটন শিল্পের উন্নতি আশা করা হচ্ছে। মন্দিরটি শুধু ধর্মীয় গুরুত্ব নয়, পর্যটকদের আকর্ষণও হতে চলেছে।