সইফ আলি খানকে বকে শক্তিমানের পাশেই মমতা! ঘুম উড়ল কলকাতার কাউন্সিলরদের?

সইফ আলি খান বনাম শক্তিমান। বৃহস্পতিবার নবান্নের সভাঘরে এরকম বেনজির দ্বন্দ্বের সাক্ষী থাকলেন আমলারা। আর সেখানেই শেষমেষ রেফারির ভূমিকাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এমনকি নিজের…

সইফ আলি খান বনাম শক্তিমান। বৃহস্পতিবার নবান্নের সভাঘরে এরকম বেনজির দ্বন্দ্বের সাক্ষী থাকলেন আমলারা। আর সেখানেই শেষমেষ রেফারির ভূমিকাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এমনকি নিজের দলের নেতাকেই ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে দিলেন মমতা(Mamata Banerjee)। এই কাণ্ড দেখে তাজ্জব সভায় উপস্থিত সকলেই।

ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন হকার উচ্ছেদের বিষয় নিয়ে বিভিন্ন হকার সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসন মমতা(Mamata Banerjee)। তার আগেই বিভিন্ন মন্ত্রী আমলারা আবারও এক প্রস্থ ‘বকা’ খেয়েছেন মমতার কাছে। এমনিতেই গত কয়েকদিন ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) মেজাজকে সমঝে চলছেন নবান্নের আধিকারিক মহল থেকে শুরু করে তৃণমূলের বিভিন্ন নেতা-নেত্রীরা। তারই মধ্যে এদিন দখলদারির উচ্ছেদ অভিযান এবং একাধিক ব্যাপারে ডাকা এই জরুরী সভায়, মুখ্যমন্ত্রীর মেজাজ ছিল সপ্তমে।

   

কলকাতায় আগামীদিনে থাকবে শুধু বাঙালি হকাররাই? মমতার নির্দেশে জল্পনা শুরু!

সেই সভাতেই একসময় হকার উচ্ছেদ নিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানাতে শুরু করেন নিউমার্কেট অঞ্চলের হকার সংগঠনের নেতারা। তখনই সেখানে তৃণমূলের হকার সংগঠনের নেতা সইফ আলি খান ক্ষোভ উগরে দেন শক্তিমান ঘোষের বিরুদ্ধে। অভিযোগ করেন শক্তিমান সিপিআইএমের লোক, ইচ্ছে করে তৃণমূলকে বদনাম করবার জন্য তিনি বিভিন্ন কথাবার্তা বলছেন।

সইফ আরও বলেন, “নিউ মার্কেট হকার কমিটিতে যত জন রয়েছেন, সবাই আমাদের ইউনিয়নের লোক। শক্তিদা তৃণমূলের লোক নন।উনি সিপিআইএম করেন ”। এসব শুনেই রেগে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভাই প্লিজ। আমি সিপিএম-বিজেপি বুঝি না। আমি তোমার কথা শুনব না। সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। এই তুমি আর কোনও কথা বলবে না।” তারপরই হকার্স ইউনিয়নের নেতা শক্তিমানকে মমতা সমর্থনের সুরে বলেন, “শক্তি তুমি বসো, চিন্তা করো না”। সেইসঙ্গে হকার নিয়ন্ত্রণের নতুন ৫ জনের কমিটিতে শক্তিকেও শামিল করেছেন তিনি।

কেন রাজভবনে গিয়ে শপথে নারাজ সায়ন্তিকা-রেয়াত? নবান্নে বসে বিস্ফোরক মমতা

দীর্ঘদিন ধরে কলকাতার হকার ইউনিয়নে পরিচিত নাম শক্তিমান ঘোষ। সম্প্রতি ফুটপাতের দখলদারি এবং হকার বিতর্কে তিনি মুখ খুলেছেন। প্রতিবছর প্রায় ২৫০ কোটি টাকার তোলাবাজির বিস্ফোরক অভিযোগ তিনি করেছেন। কলকাতার নেতা মন্ত্রী যোগসাজসের চক্রের দিকেও তিনি আঙুল তুলেছেন। কিন্তু নবান্নের সভাঘরে মমতার তাকে ঘুরিয়ে সমর্থন করাটা অন্য সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

শক্তিমান নিজেও মুখ্যমন্ত্রী কে বলেন আমি ১৯৭২ সাল থেকে নেতা। আমি বহুবার আপনার সঙ্গে আন্দোলনে সামিল হয়েছি। আগে আমরা খুবই গুছিয়ে চলতাম। এখন নতুন নতুন লিডার, যে যেখানে ইচ্ছা রাস্তার ওপর দোকান বসাচ্ছেন। ”

ডিমে আত্মনির্ভর হচ্ছে বাংলা! ডিম-প্রেমীদের জন্য বড় সুখবর মমতার

তবে হকার সমস্যার গোড়ায় গোন্ডগোলকে এইভাবে মিডিয়ার সামনে তুলে নিয়ে আসা শক্তিমান ঘোষ কে পুরোপুরি সমর্থন করছেন মমতা। তাঁর বিরুদ্ধে বিরূপ মনোভাব পোষণ করা তো দূর, উল্টে তাঁকে হকার নিয়ন্ত্রণ কমিটিতে প্রতিনিধি হিসেবে রাখা হল। তাতে এটা পরিষ্কার যে, শক্তিমানের সুরেই মমতা সুর মেলাচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই যেসমস্ত হকার নেতা এবং কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন শক্তিবাবু, তাদের কপালের ভাঁজ ক্রমশ আরও গভীর হচ্ছে।