বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতি বছর উদযাপন যেমন পরিবেশ সচেতনতা (World Environment Day) এবং পৃথিবীকে রক্ষা করার লক্ষ্যে পালন করা হয়, তেমনই এবারের দিবসটি আরও বিশেষ হয়ে উঠেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাধ্যমে। বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে নিজের লেখা(World Environment Day) একটি গান সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে তিনি পরিবেশ রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন। গানের শিরোনাম ছিল “সবুজ বাঁচাও, সবুজ দেখাও”, যা(World Environment Day) শিল্পী রূপঙ্কর বাগচী কণ্ঠে পরিবেশন করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্ববর্তী টুইটার) ভিডিও(World Environment Day) পোস্ট করে লিখেছেন, “সবুজ বাঁচাও, সবুজ দেখাও”, এবং ওই পোস্টের মাধ্যমে তিনি (World Environment Day) বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানান, সবুজকে রক্ষা করতে এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার। এই গানের মাধ্যমে তিনি পরিবেশ সংরক্ষণ এবং গাছ রোপণের গুরুত্বকেও বিশেষভাবে তুলে ধরেছেন। গানের সুরে একটি গভীর বার্তা রয়েছে—গাছ রোপণ ও সবুজের সুরক্ষা ছাড়া পৃথিবী এবং তার বাসিন্দাদের ভবিষ্যত নিরাপদ নয়(World Environment Day)
বিশ্ব পরিবেশ দিবসের ইতিহা(World Environment Day)
প্রতি বছর ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয়। ১৯৭২ সালের ৫ জুন সুইডেনের স্টকহোমে রাষ্ট্রসঙ্ঘ একটি আন্তর্জাতিক পরিবেশ সম্মেলন আয়োজন করেছিল, (World Environment Day) যেখানে বিশ্বব্যাপী পরিবেশ সংক্রান্ত সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা হয়। এই দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে পরবর্তীতে ১৯৭৩ সাল থেকে এই দিনটিকে বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিসেবে পালিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বর্তমানে, ১৫০টিরও বেশি দেশে এই দিনটি পালন করা হয়, এবং দিনটি বিশ্বব্যাপী পরিবেশ রক্ষার জন্য সচেতনতা সৃষ্টির এক গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ হয়ে উঠেছে।(World Environment Day)
বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করার প্রথা হিসেবে সবচেয়ে (World Environment Day) পরিচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হল বৃক্ষরোপণ। গাছপালা আমাদের জীবনের অঙ্গ, কারণ তারা অক্সিজেন প্রদান করে, বাতাসকে বিশুদ্ধ রাখে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। কিন্তু আজকাল পৃথিবীজুড়ে গাছপালা ব্যাপকভাবে কাটা হচ্ছে, যার ফলে বিশ্ব উষ্ণায়নের সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠছে। এই প্রেক্ষিতে, গাছ রোপণের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে এবং এটি পৃথিবীকে তাপমাত্রার ওঠানামা থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করতে পারে(World Environment Day)
মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা এবং গানের গুরুত্ব(World Environment Day)
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে “সবুজ বাঁচাও, সবুজ জাগাও। সবুজের মাঝে, পরিবেশ বাঁচাও” এই গানের মাধ্যমে সমাজে পরিবেশ সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। গানে তিনি একদিকে যেমন পরিবেশ রক্ষার গুরুত্বের কথা বলেছেন, তেমনি পরিবেশের জন্য সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। গানের লিরিক্স অত্যন্ত সহজ এবং প্রাসঙ্গিক—এটি সবার কাছে পৌঁছানোর(World Environment Day) জন্য আদর্শ। এটাই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্য ছিল: পরিবেশ রক্ষার এই বার্তাটি সর্বস্তরে পৌঁছে দেওয়া।
গানটির কথা এবং সুরও মুখ্যমন্ত্রীর নিজস্ব। তিনি নিজেই(World Environment Day) গানের সুর করেছেন এবং তার সঙ্গে বক্তব্য রেখেছেন, “এই গানটি আমার নিজের লেখা। আমি বিশ্বাস করি যে, পরিবেশের প্রতি আমাদের দায়িত্ব শুধু আমাদের প্রজন্মের জন্য নয়, আগামী প্রজন্মের জন্যও।” এই স্বরচিত গানটি শুধুমাত্র একটি সংগীত নয়, এটি একটি সামাজিক বার্তা—যা শুনে এবং দেখে মানুষ আরও সচেতন হবে এবং নিজেদের পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীলতা অনুভব করবে।(World Environment Day)
গানের মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতা এবং ভবিষ্যৎ(World Environment Day)
গানটি শিল্পী রূপঙ্কর বাগচীর কণ্ঠে এক অনন্য শৈলীতে গাওয়া হয়েছে, যা (World Environment Day) শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যায়। রূপঙ্কর বাগচী তার স্বর ও সঙ্গীতের মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতাকে আরও ব্যাপকভাবে তুলে ধরেছেন। তার গায়কী গানটিকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে, এবং গানের মধ্য দিয়ে পরিবেশের প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে(World Environment Day)
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পদক্ষেপের মাধ্যমে শুধুমাত্র(World Environment Day) পশ্চিমবঙ্গের মানুষই নয়, বরং দেশের প্রতিটি নাগরিককে পরিবেশ রক্ষায় সচেতন করা সম্ভব হবে। যখন একজন জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা তার নিজস্ব গানে পরিবেশ রক্ষার আহ্বান জানান, তখন সেই বার্তা আরও (World Environment Day) শক্তিশালী হয়ে ওঠে। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগ, যে কেউ তাকে অনুসরণ করতে পারেন এবং পরিবেশের প্রতি নিজের দায়িত্ব পালন করতে পারেন, সেটি একটি প্রেরণা সৃষ্টি করবে।