দুর্গাপুজোয় শান্তি রক্ষায় মন্ত্রীদের কড়া নির্দেশ মমতার

কলকাতা: দুর্গাপুজো (Durga Puja 2025) ঘিরে বাঙালির আবেগ অপরিসীম। তবে উৎসবের আনন্দে যেন কোথাও কোনও অশান্তি বা বিশৃঙ্খলা না হয়, তার জন্য বৃহস্পতিবার নবান্নে অনুষ্ঠিত…

কলকাতা: দুর্গাপুজো (Durga Puja 2025) ঘিরে বাঙালির আবেগ অপরিসীম। তবে উৎসবের আনন্দে যেন কোথাও কোনও অশান্তি বা বিশৃঙ্খলা না হয়, তার জন্য বৃহস্পতিবার নবান্নে অনুষ্ঠিত শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে মন্ত্রীদের প্রতি কড়া নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ, “পুজোর সময় প্রত্যেকে নিজের এলাকায় থাকবেন, মানুষের পাশে থাকবেন এবং শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবেন।”

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, উৎসবের সময় প্রচুর ভিড় হয়, নানা ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তাই কোনও প্ররোচনায় পা না দিয়ে সতর্কভাবে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখতে হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দিকেও তাঁর বিশেষ বার্তা— তারা যেন প্রত্যেকটি বিষয়ে সতর্ক থাকেন এবং প্রয়োজনে দ্রুত ব্যবস্থা নেন।

   

শুধু আইনশৃঙ্খলার কথা নয়, সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের প্রতিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বার্তা দেন। তিনি বলেন, “উৎসবের আনন্দ সবার। তাই শুধু দলের তহবিল থেকে নয়, নিজেদের সঞ্চয় থেকেও গরিব মানুষদের পাশে দাঁড়াতে হবে।”

মন্ত্রীদের উদ্দেশে তিনি এও স্পষ্ট করে দেন যে, সমাজের প্রত্যেক শ্রেণির মানুষ যেন সমানভাবে উৎসবের আনন্দে শামিল হতে পারেন, সেই দিকটা দেখার দায়িত্ব তাদের ওপর বর্তায়।

Advertisements

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আরও এক গুরুত্বপূর্ণ দিকের ওপর জোর দেন— তা হল রাজনৈতিক মন্তব্য। তিনি মন্ত্রীদের বলেন, “আপনারা সরকার ও দলের অংশ। তাই মন্তব্য করার আগে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করুন। অযথা উসকানিমূলক বা আলপটকা মন্তব্য করবেন না।”

এই বক্তব্য থেকে পরিষ্কার, উৎসবের আবহে কোনওভাবেই রাজনৈতিক অস্থিরতা বা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হোক, তা চান না মুখ্যমন্ত্রী।

মহালয়া পেরিয়ে এখন শুরু হয়েছে দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন। প্রতিমা গড়ার কাজ শেষ পর্যায়ে, মণ্ডপে শেষ মুহূর্তের সাজসজ্জা চলছে। এ অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ রাজ্যের রাজনৈতিক মহল থেকে প্রশাসনিক দফতর— উভয়ের কাছেই তাৎপর্যপূর্ণ। কলকাতা থেকে গ্রামবাংলা পর্যন্ত উৎসব যাতে নির্বিঘ্নে হয়, তার জন্য এই পদক্ষেপকে কার্যকরী বলেই মনে করা হচ্ছে।

দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশ প্রমাণ করে যে রাজ্য সরকার উৎসবের সময় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে চায়। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানো— এই তিনটি বিষয়কেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমান গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রীদের বার্তা দিয়েছেন।