সুজিতের ওপর চটে লাল মমতা! কিন্তু কেন, জানুন কারণ

সুজিতের উপর বেজার চটে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী! কিন্তু হঠাৎ কী হল? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে পুর বৈঠকে বকুনি খেলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। প্রসঙ্গত বিধাননগর এলাকার বেশ কিছু…

sujit bose

সুজিতের উপর বেজার চটে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী! কিন্তু হঠাৎ কী হল? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে পুর বৈঠকে বকুনি খেলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। প্রসঙ্গত বিধাননগর এলাকার বেশ কিছু কাজ নিয়ে ক্ষুদ্ধ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু বিধাননগরই নয়, তাঁর নজরে আরও বেশ কিছু পুরসভা। সোমবার নবান্নে প্রায় একঘণ্টা বকুনি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অপেক্ষার অবসান! শিয়ালদহের যাত্রীদের জন্য বিরাট উপহার রেলের

   

তিনি এইদিন বৈঠকে বলেন বিধাননগর পুরনিগমে ইচ্ছমতো লোক বসানো হচ্ছে, সরাসরি এই অভিযোগ তুললেন সুজিত বসুর বিরুদ্ধে। বললেন,”যেখান সেখান থেকে লোক এনে পুরসভায় কাজ দিচ্ছে। যেখানে সেখানে দোকান বসে যাচ্ছে অনুমতি ছাড়া।” পুর পরিষেবা নিয়ে বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন,”এবার কি আমাকে রাস্তায় ঝাঁটা দিতে হবে?” সাফ জানিয়ে দিলেন, “আমি স্থানীয়দের হাত থেকে টেন্ডারটা তুলে নিচ্ছি আজ থেকে। কোনও টেন্ডার আমি লোকালি করতে দেব না। সব কেন্দ্রীয়ভাবে হবে। তাদের হাতেই তথ্য থাকবে। কমিটি করে দিচ্ছি আমি। মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ভূমি, অর্থ, সেচ দপ্তরের সচিবরা থাকবেন। সঙ্গে পুলিশ কমিশনার, ডিজি ও এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) থাকবেন। কোনও কিছু হলে আমি তাঁদের ধরব।

ফ্রিজ, টিভি, এসির ওয়ারেন্টির নিয়মে আসছে বিরাট বদল

বিধাননগর পুরনিগমে নিয়োগ নিয়ে সুজিত বসুর বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তাঁর তিরস্কারের মুখে পড়তে হল শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র গৌতম দেবকেও। বৈঠকের শুরুতেই মমতা বলেন, ‘আমার কথা কিছুটা তিক্ত হলেও মনে রাখবেন পুরসভা কিন্তু মানুষকে পরিষেবা দেয়। আমি বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করছি, কোথাও যখন দখলদারি চলছে, তখনও কোনও অ্য়াকশন নেওয়া হচ্ছে না।” এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”হাওড়ায় প্রচুর বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে। রথীন যখন চেয়ারম্যান ছিল, হাওড়াটাকে ১২টা বাজিয়ে দিয়ে গিয়েছে। অ্যাম্বুল্যান্স যাওয়ার জায়গা নেই। নো অ্যাকশন।”

নবান্নে রণংদেহী মমতা! পুর-পরিষেবা জবরদখল নিয়ে মন্ত্রী-মেয়রদের চাঁচাছোলা ভর্ৎসনা

তিনি আরও অভিযোগ করেন,” কোথাও কোথায়ও আলো জ্বলতেই থাকে, কোথাও জল বন্ধ করা হয় না। রাস্তা সারানো হয় না। তিনি বলেন,”একটা ঢাকনা করলেও কেউ খুলে বিক্রি করে দিচ্ছেন।” তিনি সুজিত বসুকে উদ্দেশ্য করে বলেন,”সল্টলেক দেখে আমার লজ্জা লাগছে। বেআইনি দখল বাড়ছে। ইচ্ছামতো সুজিত বসু লোক বসাচ্ছেন কম্পিটিশন করে। কেন বাইরের লোক বসাবেন। ছবি দেখালে নিজেরা লজ্জা পাবেন। সবাই ত্রিপল লাগিয়ে বসে পড়ছেন, কেন কেন কেন… আমি জানতে চাই। কত টাকার বিনিময়ে এসব হচ্ছে, কারা নিয়েছে টাকা। সল্টলেকের কাউন্সিলররা কেন কাজ করে না? রাস্তা ঝাঁট দেয় না। এবার কি আমাকে রাস্তা ঝাঁট দিতে হবে?”