আত্মীয়কে আগেই প্রার্থী করেছিলেন, এবার কলেজের বান্ধবীকে ভোটের টিকিট দিলেন মমতা!

সালটা ২০২৩ (Mamata Banerjee)। উপলক্ষ সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচন। সেবার সবাইকে প্রায় অবাক করে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট দেওয়া হয়েছিল দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে একসময় বহিষ্কারও…

সালটা ২০২৩ (Mamata Banerjee)। উপলক্ষ সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচন। সেবার সবাইকে প্রায় অবাক করে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট দেওয়া হয়েছিল দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে একসময় বহিষ্কারও করেন মমতা (Mamata Banerjee)। পরে অবশ্য দলে ফিরে আসেন তিনি। দলীয় পদও পান। এখন প্রশ্ন হল কেন দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে এত কথা বলা হল?

আসলে এই দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মীয়। দেবাশিসের বাবা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিসতুতো দিদি গায়ত্রীদেবী। এই গায়ত্রীদেবী হলেন মমতার মা। মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং জানিয়েওছেন, ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে তিনি মাঝেমধ্যে সাগরদিঘির এই বাড়িতে আসতেন।

   

সাল ২০২৪। উপলক্ষ মানিকতলা বিধানসভার উপনির্বাচন। এবারও সবাইকে অবাক করে তৃণমূল প্রার্থী করল সুপ্তি পাণ্ডেকে। সম্পর্কে তিনি এই কেন্দ্রের প্রয়াত বিধায়ক সাধন পাণ্ডের স্ত্রী। কিন্তু সুপ্তিকেই কেন প্রার্থী করা হল? কলেজে পড়ার সময়ে সুপ্তি পাণ্ডে মমতার সহপাঠী ছিলেন। তাঁর সঙ্গে মমতার ব্যক্তিগত সম্পর্ক বেশ ভালো।

মান-অভিমান অতীত! কুণাল ঘোষকে বিরাট দায়িত্ব দিলেন মমতা

সম্ভবত সেই কারণেই সাধন পাণ্ডের জায়গায় তাঁর স্ত্রীর নামেই প্রার্থী হিসেবে সিলমোহর দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানিকতলা প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে আরও কয়েকজন ছিলেন। কিন্তু সবাইকে টেক্কা দিয়ে প্রার্থী হয়েছেন সুপ্তি।

সাধন পাণ্ডের মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডেও ওই আসনে প্রার্থী হতে আগ্রহী ছিলেন বলে তৃণমূলের অন্দরের খবর। তবে সূত্রের খবর, মমতা শ্রেয়াকে প্রার্থী করতে খুব আগ্রহী ছিলেন না। এছাড়া নাম উঠেছিল মমতা ঘনিষ্ঠ এক প্রাক্তন আমলারও। তবে, শেষপর্যন্ত সাধন পাণ্ডের পরিবারেই বা বলা ভালো নিজের বান্ধবীর উপরই ভরসা রাখলেন মমতা।

মিলতে চলেছে মমতার ভবিষ্যতবাণী? সরকার গঠন করলেও NDA-তে অসন্তোষ বাড়ছে

২০২৩ এর উপনির্বাচনে সাগরদিঘি বিধানসভা জিততে পারেননি মমতার আত্মীয় দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসের কাছে প্রায় ২৩ হাজার ভোটে পরাজিত হন তিনি। পরে অবশ্য বাইরন তৃণমূলে যোগ দেন। এখন দেখার মমতার কলেজ-কালের বান্ধবী সুপ্তি পাণ্ডে বিধানসভা উপনির্বাচনে মানিকতলায় ঘাসফুল ফোটাতে পারেন কি না।

একুশের নির্বাচনে মানিকতলা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন সাধন পাণ্ডে। ২০ হাজার ২৩৮ ভোটে বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবেকে হারান তিনি। ২০২২-র ফেব্রুয়ারিতে মৃত্যু হয় সাধন পাণ্ডের।

বিরাট উপহার মমতার! এপ্রিল থেকেই ৪ শতাংশ ডিএ পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা

তারপর থেকে এই কেন্দ্রটি বিধায়কহীন হয়ে পড়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচনের বিধান থাকলেও, মানিকতলা কেন্দ্রের ক্ষেত্রে তা হয়নি। গণনায় কারচুপির অভিযোগে ফলাফল বাতিলের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন পরাজিত বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। সেই মামলার সম্প্রতি নিষ্পত্তি ঘটেছে। আদালত উপনির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছে।

একটা সময় বামেদের দুর্গ ছিল মানিকতলা। সিটু নেতা শ্যামল চক্রবর্তী এই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন। ২০১১ সাল থেকে টানা তিনবার মানিকতলার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন সাধন পাণ্ডে। ২০২১-এ মানিকতলা কেন্দ্রে জয়ী হন সাধন পাণ্ডে। তিনি ৬৭ হাজার ৫৭৭ ভোট পেয়েছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির কল্যাণ চৌবে পেয়েছিলেন ৪৭ হাজার ৩৩৯টি ভোট।

বিরাট চমক উত্তর প্রদেশে, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন অখিলেশ যাদব